চা শিল্পে নিন্মতম মজুরির খসড়া গেজেটের আপত্তি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫১ পিএম, ২৬ জুন ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০৭:৫৬ পিএম, ২৬ জুন ২০২১ শনিবার
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ঘোষিত গেজেটে চা শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক কর্মচারীদের স্বার্থ পরিপন্থী কতিপয় ধারার আপত্তি জানিয়ে তা সংশোধিত আকারে প্রকাশের দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশন (বিটিইএসএ)।
শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের গুহ সড়কস্থ বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশন এর কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে অতি দ্রুত এই খসড়া সংশোধিত আকারে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে তারা।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মো. মাহবুব রেজা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কান্তি ভট্টিচার্য, কোষাধ্যক্ষ মো. আমিনুর রহমান, বালিশিরা ভ্যালির আঞ্চলিক সভাপতি সুরঞ্জিত দাস, ভ্যালির উত্তোরাঞ্চলীয় সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, ধলই অঞ্চলের আঞ্চলিক সাধারণ সম্পাদক ইমন দেবনাথ, লংলা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ যাদব প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে মাহবুব রেজা বলেন, ১৯৫৩ সাল থেকে ৬৭ বছর ধরে চা শ্রমিক কর্মচারীরা বাংলাদেশীয় চা সংসদের সাথে দর কষাকষি করে ২ বৎসর পরপর কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়। গত ১৩ জুন নিম্নতম মজুরি বোর্ড চা শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরি সংক্রান্ত একটি খসড়া গেজেট প্রকাশ করে। প্রকাশিত গেজেটে অবহেলিত চা শ্রমিক কর্মচারীদের স্বার্থ পরিপন্থি কয়েকটি ধারা সন্বিবেশন করা হয়। আমরা তার আপত্তি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, গত ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশীয় চা সংসদ শ্রমিকদের বেতন ২০১৮ সালের বেতন থেকে ২০১৯-২০ সালের মেয়াদে ৩৮.৪৩% বৃদ্ধি কর হয়। সেই আলোকে আমরা বেতন কাঠামো বৃদ্ধির আবেদন করি। কিন্তু মজুরী বোর্ড তা আমলে না নিয়ে চা সংসদের সম্পাদিত চুক্তি নামায় বেতন কাঠামো হুবহু ঠিক রেখে ১৩ জুন একটি গেজেট প্রকাশ করে। এতে করে মালিক পক্ষের সাথে চা শ্রমিকদের চুক্তিনামার মেয়াদ ২ বৎসর থেকে ৩ বৎসর করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শ্রমিকদের আবেদন আমলে না নিয়ে গেজেট প্রকাশ করায় বা বাগান শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই গেজেট পাস হলে চা শ্রমিকদের সাথে মালিক পক্ষের দর কষাকষির সব দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। শ্রমিকরা তাদের স্বার্থ হারাবে আর মালিকপক্ষ ফায়দা লুটবে। এসময় চুক্তিনামার মেয়াদ ২ বৎসর ও চা শিল্প সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বেতন ২০১৯ সালের প্রাপ্ত থেকে ২৮.৪৩ ভাগ বৃদ্ধি করে নিন্মতম মজুরী ঘোষনার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মাহবুব রেজা বলেন, সরকার শ্রমিকদের সুবিধার জন্য নিন্মতম মজুরী বোর্ড গঠন করে দিয়েছে। কিন্তু এখানে যারা দায়িত্বে আছে, তারা আমাদের কোন কথা গুরুত্ব দেয় না। যেখানে সরকার শ্রমিক কর্মচারীদের সুবিধা অসুবিধা বুঝে তাদের সকল কাজে সহযোগিতা করছেন, সেখানে নিন্মতম মজুরী বোর্ড আমাদের কোন কথাই আমলে নিচ্ছেন না। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই তারা কাজ করছে বলে আমরা মনে করি।
কেআই//