ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটায় ঘটছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত : ১১:৫০ এএম, ১৮ জুন ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ১২:৩২ পিএম, ১৮ জুন ২০১৭ রবিবার

অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটায় পার্বত্য জেলাগুলোতে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনে ঝড়, বৃষ্টিতে ভেঙ্গে পড়ছে পাহাড়, ঘটছে প্রানহানী। বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে অপরিকল্পিতভাবে গাছ আর পাহাড়কাটা। স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে, হুমকিতে পড়বে পুরো এলাকার জনজীবন আর বিলীন হয়ে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পাহাড়ী জনপদ।
পার্বত্য জেলাগুলো দেশের অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র, সৌন্দর্যমন্ডিত এলাকা। দেশের মোট ভূখন্ডের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলা বান্দরবানের ৪ হাজার ৪৭৯.০১ বর্গ কিলোমিটার, রাঙামাটির ৬ হাজার ১শ ১৬ কিলোমিটার ও খাগড়াছড়ির ২ হাজার ৭০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে ছোট বড় শত শত পাহাড়।
দিনের পর দিন এসব এলাকায় বাসস্থান নির্মানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরিতে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এর ফলে বৃষ্টির পানি কাটা অংশে ঢুকে ধ্বস নামছে পাহাড়ে, ঘটছে প্রানহানী আর সম্পদের অপচয়।
পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় প্রানহারায় দেড়শতাধিক মানুষ। মূলত সহায় সম্বলহীন অসহায় পরিবার যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করে তারাই ভুক্তভোগী হচ্ছে এসব ঘটনার।
প্রতিবছরই পাহাড় ধ্বসে এমন প্রাণহানির ঘটনার ঘটলেও শুধু মাত্র বর্ষা আসলেই প্রশাসন কিছু বৈঠক ও মাইকিং করে তাদের দায়িত্ব শেষ করে। এবিষয়ে নেই কোনো দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বা স্থায়ী সমাধান।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ভৌতঅবকাঠমো নির্মান করায় বাড়ছে দুর্ঘটনা।
তাদের পরামর্শ, প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে মিল রেখে তৈরি করতে হবে আবাসস্থল, বন্ধ করতে হবে যত্রতত্র পাহাড় আর গাছ কাটা, তবেই বাচঁবে পাহাড়, বাচঁবে মানুষ।