ঠাকুরগাঁওয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ করোনা রোগীর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ২৭ জুন ২০২১ রবিবার
ঠাকুরগাঁও জেলায় ২৪ঘণ্টায় করোনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই জেলায় এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যু। মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দু’জন রানীশংকৈলে, একজন করে সদর, বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
এর আগে ১১ জুন জেলায় চারজন করোনা রোগী মারা গিয়েছিলেন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৭২ জনের মৃত্যু হলো। করোনায় আক্রান্তের বিপরীতে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৪২ শতাংশ। শনিবার সকাল আটটা থেকে রবিবার আটটা পর্যন্ত ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে জেলায় ১২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব, ঠাকুরগাঁওয়ের বক্ষব্যাধি হাসপাতালের জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা এবং সদর হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালগুলো থেকে পাওয়া অ্যান্টিজেন পরীক্ষার প্রতিবেদন সমন্বয় করে মোট শনাক্তের এ সংখ্যা জানা গেছে। নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৬ জন, বালিয়াডাঙ্গীতে ২৪, রানীশংকৈলে ১৭, হরিপুর ১৪ ও পীরগঞ্জ উপজেলায় ৯ জন রয়েছেন। মৃত পাঁচজনের মধ্যে রানীশংকৈল উপজেলার ৬৬ ও ৭০ বছর বয়সী পুরুষ, সদরের ৮০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, পীরগঞ্জের ৪৮ বছর বয়সী এক পুরুষ ও বালিয়াডাঙ্গীর ৩৫ বছর বয়সী এক পুরুষ রয়েছেন।
এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৮৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৯৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের গড় হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঠাকুরগাঁও জেলায় রবিবার লকডাউনের চতুর্থ দিন ছিল। জেলা শহরের মোড়ে মোড়ে তল্লাশিচৌকি বসানো হলেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাচল করে। লকডাউন কার্যকর করার জন্য জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছে।
সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে সদর, পৌরসভা ও বালিয়াডাঙ্গীতে সংক্রমণের মাত্রা দ্রুতই বাড়ছে। এখানকার কমিউনিটিতে এটি ঢুকে পড়েছে। সবাই সচেতন হলে করোনা সংক্রমণ কমবে।
আরকে//