ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাড়ি ফিরছেন জাককানইবির শিক্ষার্থীরা

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৪৩ পিএম, ২৮ জুন ২০২১ সোমবার

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। তাতে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ময়মনসিংহের ত্রিশালের এই ক্যাম্পাস থেকে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে ১৫টি বাস ছেড়ে যায়। 

শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেওয়ার এই উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরিয়াল বডি, সকল বিভাগীয় প্রধানগণ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন উপাচার্য।

উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। অভিভাবকের অন্যতম দায়িত্ব সন্তানদের খোঁজ-খবর রাখা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়।

প্রশাসনের নির্দেশনায় এই পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. মো: আরিফুর রহমান। বিভাগভিত্তিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নির্ধারণ, বাসরুট ও সিডিউল প্রস্তুতকরণসহ নানাবিধ কাজসমূহ পরিবহন দপ্তরের অধীনে সম্পন্ন হয়।

এ প্রসঙ্গে ড. মো: আরিফুর রহমান বলেন, সাতটি রুটে আমাদের ১৫টি বাসে প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি যাচ্ছে। এখন তারা নিরাপদে বাসায় পৌঁছাবে সেটাই আমাদের চাওয়া। এই কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

পরিবহন দপ্তরসূত্রে জানা গেছে, ১৫টি বাসের মধ্যে অর্ধেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব, অন্যগুলো ভাড়ায় আনা হয়েছে। বাসগুলো বিভাগীয় শহর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিয়ে আসবে।

প্রসঙ্গত, সদ্য ঘোষিত লকডাউনের আগে সারাদেশ থেকে প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসে। তারা স্ব স্ব বিভাগের অর্ন্তগত সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে লকডাউনের ঘোষণা আসায় পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীরা আটকে পড়েন।

এএইচ/