ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার অজিত রায়ের জন্মদিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪১ এএম, ২৯ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার অজিত রায়ের জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৩৮ সালের আজকের এই দিনে রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন। 

অজিত রায় ২০১১ সালের ০৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৩ বছর। শিল্পী  দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। 

তিনি গান শিখেছেন মা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কনিকা রায়ের কাছে। মাধ্যমিক পাশের পর ১৯৬৩ সাল থেকে তিনি নিয়মিত রেডিওতে গাইতে শুরু করেন। এ দেশে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরুর প্রথম থেকেই গান গেয়েছেন। রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি আধুনিক ও লোকসঙ্গীত গাইতেন অজিত রায়। তিনি একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন।

চলচ্চিত্রের প্লে-ব্যাক গায়ক হিসেবেও অনেক বিখ্যাত চলচ্চিত্রে অজিত রায় গান গেয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে ‘রিপোর্টার’, ‘জীবন থেকে নেওয়া’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘জন্মভূমি’, ‘কোথায় যেন দেখেছি’ এবং ‘কসাই’। এছাড়াও তিনি ‘সুরজ মিয়া’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন।

অজিত রায় ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী ও অন্যতম সংগঠক। ১৯৭১-এর জুনে তিনি কলকাতায় স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগ দেন। এসময় তার সতীর্থ শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন আপেল মাহমুদ, আব্দুল জব্বার, সমর দাস, কাদেরী কিবরিয়াসহ আরো অনেকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় অজিত রায়-রচিত এবং সুরারোপিত অনেক গানই দেশবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল জোগায়। এসব গানের মধ্যে রয়েছে ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’, ‘হে বঙ্গ ভান্ডারে তব’, ‘আমি যুগে যুগে আসি’, ‘স্বাধীন স্বাধীন দিকে দিকে’ প্রভৃতি।

১৯৭২ সালে অজিত রায় বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৬ সাল চাকরি থেকে অবসর নেন। সঙ্গীত সাধনায় বিশেষ অবদানের জন্য অজিত রায় ২০০০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও জীবনের বিভিন্ন সময় তিনি বেগম রোকেয়া পদক, সিকোয়েন্স পদক, শব্দসৈনিক পদক, ঋষিজ পদক, রবিরশ্মি পদক সহ অসংখ্য পুরস্কার পান।
এসএ/