যশোর সদর হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট উদ্বোধন
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:০৬ এএম, ৩০ জুন ২০২১ বুধবার
যশোর সদর হাসপাতাল থেকে অক্সিজেনের অভাবে অনেক রোগীকে রেফার্ড করা হতো। এখন থেকে অক্সিজেনের অভাবে অন্য হাসপাতালে যেতে হবে না কোনো রোগীকে। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ প্লান্টের উদ্বোধন শেষে একথা বলেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে করোনা ও আইসিসিইউ রোগীরা এখান থেকে অক্সিজেন সাপোর্ট পাবেন। পরবর্তীতে সকল রোগীদের সেন্টাল অক্সিজেনের আওতায় আনা হবে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভর্তিকৃত জটিল রোগীদের সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সরবরাহ করার লক্ষ্যে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ছয় মাস আগে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কার্যক্রম শেষ হয়। বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সার্বক্ষণিক অক্সিজেনের সাপোর্ট দিতে হয়। কিন্তু হাসপাতালে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত মজুদ না থাকার কারণে বেশিরভাগ সময়ই করোনা রোগী ও জটিল রোগীদের খুলনা বা ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছিল।
সম্প্রতি যশোরে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্ত রেকর্ড সংখ্যক হলে হাসপাতালে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দেয়। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৯ জুন থেকে শুরু হলো সেন্ট্রাল অক্সিজেন কার্যক্রম। আর এ প্লান্ট থেকে পাইপের মাধ্যমে পুরো হাসপাতালে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আখতারুজ্জামান জানান, এ অক্সিজেন প্লান্টটি চালু হওয়ায় রোগীরা আর অক্সিজেনের অভাবে কষ্ট পাবেন না। সময় মতো সকল রোগীকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। এ প্লান্টটির ধারণ ক্ষমতা ছয় হাজার ঘন লিটার। একবার প্লান্টটি রিফিল করলে সাত থেকে নয় দিন অক্সিজেন সরবরাহ সচল থাকবে।
তিনি আরও জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে অক্সিজেনের স্বল্পতা। হাসপাতালে থাকা অক্সিজেনের সিলিন্ডারগুলো থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন দিয়ে করোনা রোগীসহ জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে যশোর থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে কয়েকশ’ রোগীকে। এ সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি হওয়ায় রোগীদের আর অন্য হাসপাতালে পাঠাতে হবে না।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, হাসপাতালের প্রতিটা রোগীর শয্যার পাশে অক্সিজেনের সংযোগ দিয়েছি এবং যাদের অক্সিজেন দরকার হবে, তারা অক্সিজেন পাবে। বর্তমান করোনা আক্রান্ত ও আইসিসিইউ রোগীদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। পরবর্তীতে সকল রোগীকে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় আনা হবে।
এএইচ/