দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিচার চান কুবি শিক্ষক
কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:৩৭ পিএম, ৩০ জুন ২০২১ বুধবার
গণমাধ্যমে তথ্য সরবারহের বিষয়টি অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া। এসময় উচ্চতর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ ও ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলারকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি।
সোমবার (২৯ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
মাহবুবুল হক ভূইয়াঁ বলেন, ‘২০১৯ সালের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও একজন পরীক্ষার্থী ১২তম হয়। এ ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ওই ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়। এ ব্যাপারে গঠিত তদন্ত কমিটি উক্ত ঘটনায় আমি গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহ করেছি বলে প্রমাণ পেয়েছেন। তাদের এমন দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। আমি উক্ত ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি যে তথ্য দিয়েছি সেই প্রমাণ আপনারা জনসম্মুক্ষে প্রকাশ করুন। পরীক্ষা না দিয়ে একজন শিক্ষার্থী কীভাবে ১২তম হলো। যাদের কর্তব্যের অবহেলা, গাফিলতির কারণে এই ঘটনাটি ঘটলো তাদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যাদের কারণে এমন ঘটনা ঘটলো তাদেরকে আড়াল করার জন্য আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, এখনও তো বিচার হয়নি। এটা মাত্র ফ্যাক্ট চ্যাকিং কমিটির তদন্ত হলো। আমরা ২০১৮ সালের বিভাগীয় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো। তখন অবশ্যই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, উক্ত ঘটনায় গত ৩ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, জালিয়াতি নয় বরং অন্য এক শিক্ষার্থী ভুল রোল নাম্বার ভরাট করায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর নামে ফলাফল চলে আসে। সেই সময়ে ভর্তি কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন এক সদস্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ তথ্য সরবারহ করেছে এমন অভিযোগ উঠে।
এরপর গত ৫ ডিসেম্বর ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি’তে শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন করে। এরপর এ ঘটনায় ‘উচ্চতর তদন্ত কমিটি’ নামে আরেকটি কমিটি গঠিত হয়।
কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০তম সিন্ডিকেট সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভুইয়াঁকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়।
এএইচ/