ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আফগানিস্তানের ২ জেলা দখলে নিল তালেবান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ৩০ জুন ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০৭:২৫ পিএম, ৩০ জুন ২০২১ বুধবার

আফগান সেনাবাহিনীর একটি বহর

আফগান সেনাবাহিনীর একটি বহর

আফগানিস্তানে ফের তালেবানের উত্থান ঘটছে। দেশটির বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে চলছে তালেবানের সংঘর্ষ। দু’পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন জেলার হাতবদল অব্যাহত রয়েছে। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেনাবাহিনী তিনটি জেলা পুনরুদ্ধার করলেও দু’টি জেলা নতুন করে তালেবানের দখলে চলে গেছে।

আফগান সেনাবাহিনী বল্‌খ প্রদেশের কালদার জেলা এবং ফারিয়াব প্রদেশের পাশতুন কুত ও খান চাহার বাগ জেলা তালেবানের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। অন্যদিকে তালেবানের হাতে লগার প্রদেশের বারাকি বারাক জেলা ও কান্দাহার প্রদেশের খাকরিজ জেলার পতন হয়েছে।

আফগানিস্তান থেকে যখন পশ্চিমা দেশগুলো সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তখন দেশটিতে এসব সংঘর্ষের খবর এলো। সেদেশের গজনি, কুন্দুজ, বাগলান, তাখার, ফারিয়াব এবং ময়দান বারদাক প্রদেশে বর্তমানে তালেবানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছে। রক্তক্ষয়ী এসব সংঘর্ষের ঘটনায় প্রদেশগুলোর অধিবাসীদের পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। কুন্দুজ প্রদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংঘাতের কারণে কয়েকশ’ পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।

ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে থাকা কুন্দুজের অধিবাসী জারমিনা আফগানিস্তানের বেসরকারি নিউজ চ্যানেল ‘তোলো’কে বলেছেন, “সংঘর্ষের একপক্ষে রয়েছে তালেবান এবং অন্যপক্ষে সেনাবাহিনী। আমরা ঠিক জানি না কাদের কাছে আমরা আশ্রয় নেব। আমরা আশ্রয় ও খাবারের অভাবে ভুগছি।” 

কুন্দুজের সংসদ সদস্য নিলুফার জালালি বলেছেন, “কুন্দুজ শহরের ভেতরেই সংঘর্ষ চলছে। যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে অচিরেই তালেবানের হাতে এ শহরের পতন হবে।”

প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি মঙ্গলবার প্রাদেশিক গভর্নর ও পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে তালেবানের চলমান হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি তালেবানের বিরুদ্ধে সংঘর্ষের সময় মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এসি