মর্ডানা-সিনোফার্মের ৪৫ লাখ টিকা এখন সরকারের হাতে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৫ এএম, ৩ জুলাই ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১২:৩২ পিএম, ৩ জুলাই ২০২১ শনিবার
দেশে পৌঁছেছে কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের উপহার দেয়া মর্ডানা ভ্যাকসিনের আরও ১২ লাখ ডোজ করোনার টিকা। আজ শনিবার (৩ জুলাই) ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছায় মর্ডানার এই দ্বিতীয় চালান। এর ফলে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশ পেলো মডার্না ও সিনোফার্মের ৪৫ লাখ ডোজ টিকা।
এর আগে শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ১১টা ২২ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ ফ্লাইটে করে এসে পৌঁছায় মডার্না ভ্যাকসিনের ১৩ লাখ ডোজের প্রথম চালান। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের কাছ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকার এই চালান গ্রহন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মার্কিন সরকার সম্প্রতি এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ২ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা বরাদ্দ করেছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এই ২৫ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে। এছাড়াও, চীন সরকারের কাছ থেকে কেনা সিনোফার্মের কোভিড টিকাও কিনেছে বাংলাদেশ সরকার। চীনের কাছ থেকে কেনা টিকার মধ্যে আজ রাতে ও সকালে দেশে এসে পৌঁছে ২০ লাখ ডোজ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেই টিকাও গ্রহন করেন।
এর আগে গত মে-জুনে উপহার হিসেবে চীন সরকারের দেয়া সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ১১ লাখ ডোজ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ যখন তার বিপুল সংখ্যক জনগণকে টিকা দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছিল ভ্যাকসিনের এ চালান দেশের মানুষের জন্য একটা বড় সুসংবাদ। বিভিন্ন মাধ্যমে খুব শিগগিরই অবিরামভাবে টিকা পাওয়া যাবে এবং ঘাটতি থাকবে না বলে বৃহস্পতিবার আশা ব্যক্ত করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই ৪৫ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ায় অচিরেই গণটিকা কর্যক্রম পুনরায় শুরু হবে বলেও একই দিন এক ভিডিও বার্তায় ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬ থেকে ৮ কোটি ডোজ এস্ট্রোজেনেকার টিকা মজুদ আছে জানার সঙ্গে সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিকে আস্ট্রোজেনেকার ২০ লাখ ডোজ পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছিল ঢাকা। সেইসঙ্গে, টিকা চেয়ে হোয়াইটহাউজের কাছে একটি আবেদন করে বাংলাদেশী প্রবাসী সম্প্রদায়।
এ ছাড়াও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা পেতে চীন এবং রাশিয়ার সাথে আলোচনা চালিয়ে যায় বাংলাদেশ সরকার। খুব শিগগিরই পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলেও আশা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চীন থেকে দেড় কোটি ও রাশিয়া থেকে স্পুটনিকের ৫০ লাখ ডোজ টিকা আনার চেষ্ট করছে।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি ভারতের কাছ থেকে উপহার হিসেবে বাংলাদেশ প্রথম ২০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছিল। এ পর্যন্ত ভারতের সিরাম থেকে ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ।
এনএস/