মাথাভাঙ্গায় ডুবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭:৪৮ এএম, ৪ জুলাই ২০২১ রবিবার
নিহত মাইনুর রহমান মুন্না
চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মাইনুর রহমান মুন্না (৩০) নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রভাষকের। শনিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নদী থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা।
নিহত মাইনুর রহমান চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মোমিনের ছেলে। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’ (এআইইউবি) তে পড়াশোনা শেষে সেখানেই প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান জানান, শনিবার দুপুরে দুই বন্ধুসহ মাইনুর রহমান মুন্না মাথাভাঙ্গা নদীর সিএন্ডবি ঘাটে গোছল করতে নামেন। তারা কেউই সাঁতার জানতেন না। নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় স্রোত ছিল বেশি। এ সময় তিনজনই স্রোতে ভেসে যায়। মুন্নার বন্ধুরা কোনওরকমে তীরে উঠলেও তলিয়ে যান মুন্না। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স বাহিনী নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খবর দেওয়া হয় খুলনার ডুবুরিদের। খুলনা থেকে ডুবুরিরা এসে মুন্নার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, খবর পাওয়ার পর থেকেই আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। ইতিমধ্যেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল খুলনা থেকে এসে নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
মুন্নার চাচা কামরুজ্জামান বলেন, মুন্না সাঁতার জানতো না। সে গত ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসে। তার বাবা চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার হিসেবে কর্মরত। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে মুন্না ছিল বড়। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার বাবা-মা পাগল প্রায়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, সাঁতার না জানায় এক যুবক মাথাভাঙ্গা নদীতে নিখোঁজ হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। কোনও অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এনএস/