ইউক্রেনকে উড়িয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:০৯ এএম, ৪ জুলাই ২০২১ রবিবার
গোল উৎসবে ইংলিশরা
ইউক্রেনকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে ২৫ বছর পর ইউরোর সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করলো শিরোপা স্বপ্নে বিভোর ইংল্যান্ড। শনিবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টায় অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার-ফাইনালের শেষ ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। জোড়া গোল করেন হ্যারি কেইন, অন্য দুই গোলদাতা হ্যারি ম্যাগুইয়ার ও জর্ডান হেন্ডারসন।
রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনবার জালে বল পাঠায় ইংল্যান্ড। দাপুটে জয়ে উঠল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে। সুদীর্ঘ ২৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেখানে তারা মুখোমুখি হবে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে হারানো ডেনমার্কের।
চলতি আসরটিতে এখন পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে নিজেদের জাল অক্ষত রাখা ইংল্যান্ড এই ম্যাচে সব দিক থেকেই আধিপত্য দেখিয়েছে। শুরুটাও দারুণ হয় ইংল্যান্ডের। রাহিম স্টার্লিংয়ের ডি-বক্সে বাড়ানো থ্রু বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে প্রথম ছোঁয়াতেই জালে পাঠান কেইন।
প্রথমার্ধে আরও দুইটা সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেও বিরতির পর প্রথম মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ম্যাগুইয়ার। বাঁ দিক থেকে ক্লাব সতীর্থ লুক শয়ের দারুণ ফ্রি কিক থেকে হেডে গোলটি করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ডিফেন্ডার।
চার মিনিট পরেই ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় শেষ হয়ে যায় ইউক্রেনের। এই গোলেও অ্যাসিস্টের ভূমিকায় ডিফেন্ডার শ। তার ক্রসে ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে হেডে আসরে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন ইংরেজ কাপ্তান।
৬২তম মিনিটে অবশ্য হ্যাটট্রিক হতে পারতো কেইনের; কিন্তু তার জোরালো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন গোলরক্ষক বুশচান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, ম্যাসন মাউন্টের নেওয়া ওই কর্নার কিক থেকেই হেড করে ম্যাচ বলতে গেলে শেষই করে দেন লিভারপুল মিডফিল্ডার হেন্ডারসন।
যার ফলে শেষ পর্যন্ত ৪-০ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে জার্মানিকে হারানো ইংল্যান্ড। উজ্জীবিত ইউক্রেনকে হারিয়ে ৫৫ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর স্বপ্নে আরেক ধাপ এগোল ইংলিশরা।
সাউথগেটের কোচিংয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালেও উঠেছিল তারা। সেখানে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে হয়েছিল স্বপ্নভঙ্গ। এবার দলটির সামনে সেই হতাশায় প্রলেপ দেওয়ার পালা। সেই ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর আরেকবার শিরোপা উৎসব করার দিন গুণছে ইংরেজ সমর্থকরা।
এনএস/