জাপানে ভূমিধসে নিহত ২, নিখোঁজ ২০
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১৭ এএম, ৪ জুলাই ২০২১ রবিবার | আপডেট: ০৮:১৮ এএম, ৪ জুলাই ২০২১ রবিবার
জাপানে ভারী বৃষ্টিপাতের পর বিরাট ভূমিধসের ঘটনায় কমপক্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। দেশটির আতামি শহরের কয়েকটি বাড়ি পুরো ধ্বংস হয়ে কাদার নীচে চাপা পড়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন মানুষের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ খবর বিবিসি ও আল জাজিরা’র।
স্থানীয় সময় শনিবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটায় এই ভূমিধস শুরু হয়। এই বিপর্যয়ের আগে ৪৮ ঘন্টা ধরে শিজুওকা ও কানাগাও প্রদেশে রেকর্ড ভারী বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় জনসাধারণ জানায়, শনিবার জাপানের কেন্দ্রীয় শহর শিজুওকার আতামিতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের পর কমপক্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পাহাড়ের ওপর থেকে প্রচণ্ড বেগে নেমে আসা কালো কাদা মাটির ঢল নেমে সমুদ্রের দিকে বয়ে চলেছে। কাদার তোড়ে কয়েকটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধসে গেছে এবং মাটির নীচে চাপা পড়েছে।
জাপানো কিয়োডো বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে, এই ঘটনায় মারা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে এমন দুজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বন্দর এলাকায়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি এক ভয়ংকর শব্দ শুনে দৌড়ে উঁচু এলাকার দিকে পালিয়ে যান।
প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিডে সুগা এই ঘটনার মোকাবেলার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন।
গভর্নর হিতা কাওয়াকাতসু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমি আলগা হয়ে যায় এবং কাদামাটি দেখা দেয়। এক পর্যায়ে এটি গতি বাড়িয়ে তোলে এবং লোকজনের সাথে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে যায়।’
রাজধানী টোকিওর প্রায় ১শ’ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত আতামি শহর। এই শহরটি উষ্ণ জলের ঝর্ণার জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। এই শহরটিতে জুলাই মাসের প্রথম তিন দিনেই প্রায় এক মাসের সমান বৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জাপানের এনএইচকে টেলিভিশনকে বলেন, ‘আমি একটি ভয়ংকর শব্দ শুনতে পেলাম, তারপরই দেখলাম কাদার স্রোত নীচের দিকে নেমে আসছে। উদ্ধার কর্মীরা লোকজনকে সেখান থেকে সরে যেতে বলছিল। আমি দ্রুত উঁচু জায়গার দিকে চলে যাই।’
জাপানের পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং সামরিক বাহিনী এখন ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে।
জাপানের কর্তৃপক্ষ শিযুকা, কানাগাওয়া এবং চিবা- এই তিনটি অঞ্চলের কিছু অংশের বাসিন্দাদের বন্যার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৃষ্টির মৌসুমে জাপানে ভূমিধস এবং বন্যার ঝুঁকি থাকে। গত বছর জুলাই মাসের বন্যায় বেশ কিছু মানুষ মারা যায়। এর আগে ২০১৮ সালে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে বন্যায় মারা যায় প্রায় ২শ’ মানুষ।
এএইচ/