বগুড়ায় ২০টি হাই ফ্লো ক্যানুলা দিল এস আলম গ্রুপ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০০ এএম, ৪ জুলাই ২০২১ রবিবার | আপডেট: ১১:৩৬ এএম, ৪ জুলাই ২০২১ রবিবার
বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার অভাবে বৃহস্পতিবার মাত্র ১৩ ঘণ্টায় সাতজন করোনা রোগী মারা যাওয়ার ঘটনার পর হাসপাতালের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে এস আলম গ্রুপ। ব্যবসায়ী গ্রুপটি বগুড়ার সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০টি করে মোট ২০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা (উচ্চ মাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহ যন্ত্র) দিয়েছে।
শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম নুরুজ্জামান সঞ্চয় এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোহসিনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগিবুল আহসান রিপুসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এস আলম গ্রুপের পক্ষে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া অঞ্চলের প্রধান আব্দুস সোবহান এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী অঞ্চলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সেলিম উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. এ টি এম নুরুজ্জামান বলেন, ‘সরঞ্জামগুলো সংকটাপন্ন রোগীদের জীবন রক্ষায় সহায়ক হবে। এগুলো আজকের মধ্যেই সংযোজন করতে প্রকৌশলীরা কাজ শুরু করেছেন। আগের দুটিসহ এখন নতুন ১০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার সংযোজন করা গেলে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে এর মোট সংখ্যা হবে ১২টি। এতে আইসিইউ ইউনিটটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।’
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আট শয্যার আইসিইউ ইউনিটে মাত্র দুটি ন্যাজাল ক্যানুলা ছিল। এতে রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছিল না।
ডা. নুরুজ্জামান জানান, এই হাসপাতালের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আরও ১০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা চাওয়া হয়েছে। কারণ করোনা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক বেশি। বর্তমানে ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতলে আড়াই শতাধিক রোগী ভর্তি রয়েছে।
এদিকে, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত মুমূর্ষু রোগীদের জন্য হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সংকটের সমাধান হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল শনিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানানো হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, রোববারের মধ্যে ১০ থেকে ১৫টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সরকারিভাবে বগুড়ার ওই হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এএইচ/