‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ হে গীতিকবি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৪৭ এএম, ৫ জুলাই ২০২১ সোমবার | আপডেট: ১০:০২ এএম, ৫ জুলাই ২০২১ সোমবার
না ফেরার দেশে চলে গেলেন ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের গীতিকবি ফজল-এ খোদা। শনিবার ভোর ৪টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্নালিল্লাহি.... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর।
ফজল-এ খোদা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ৩ পুত্র, স্ত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শনিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে সেখানকার মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দাফনের সময় তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলে যথারীতি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাকে সমাহিত করা হয়। বিষয়টি জানান তার ছেলে ওয়াসিফ-এ খোদা। ওয়াসিফ-এ খোদা নিজে, তার মা এবং স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে তার মা করোনা আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কবি, গীতিকার ও বাংলাদেশ বেতারের সাবেক পরিচালক ফজল-এ খোদার জন্ম ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ, পাবনার বেড়া থানার বনগ্রামে। বিবিসি’র জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় সেরা ২০ গানের মধ্যে ১২তম স্থানে রয়েছে তার লেখা ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানটি।
ফজল-এ খোদার লেখা গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কতো, আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁখে ঘাটে যায় কোন রূপসী, ‘বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়, ‘আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘বউ কথা কও পাখির ডাকে ঘুম ভাঙেরে প্রভৃতি।
তিনি বেতারে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৬৩ সালে। ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ছড়াকার হিসেবে লেখালেখি শুরু করেছিলেন ফজল-এ খোদা। দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোক সংগীত এবং ইসলামিক গান লিখে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
এদিকে বরেণ্য এ গীতিকারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এসএ/