ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

রাজশাহীর কোভিড ইউনিটে আরও ১৮ জনের মৃত্যু

রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:২৯ পিএম, ৫ জুলাই ২০২১ সোমবার

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। বাকি উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ মারা যান। মৃতদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী।

সোমবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। 

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, একদিনে মৃত ১৮ জনের মধ্যে রাজশাহীর আটজন। বাকিদের মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জের একজন, নাটোরের তিনজন, নওগাঁর চারজন, পাবনার একজন ও কুষ্টিয়ার একজন।

তিনি বলেন, মৃতদের মধ্যে সাতজনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের দু’জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের ছয়জন। এ নিয়ে চলতি মাসের পাঁচ দিনের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ জনে। এদের মধ্যে ২৮ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন।

শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৬৯ জন। একই সময় সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৮ জন। আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ৪০৫ বেডের বিপরীতে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৯৫ জন। বাকি ৯০ জনকে বারান্দা ও মেঝেতে অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আইউসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন ২০ জন।

পরিচালক বলেন, রোগির চাপ সামলাতে ৪নং ওয়ার্ডকে করোনা ইউনিটে যুক্ত করা হয়েছে। এখানে ৫০টি অক্সিজেন লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। আজ থেকে সেখানে রোগী রাখা যাবে। এ নিয়ে করোনা ইউনিটের ১৪টি ওয়ার্ড বেডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৫৫টিতে।  

এদিকে, রাজশাহীতে এক দিনের ব্যবধানে আবারও সামান্য বেড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার। রোববার দুটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৬১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ০৯ শতাংশে। যা আগের দিন শনিবার ছিল ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। 

রাজশাহী জেলা ছাড়াও চাঁপাইনবাগঞ্জের ৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৮ জনের পজিটিভ এসেছে।

ঈদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলে গত ১১ জুন সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে সেটি দুই দফা বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপর এক জুলাই থেকে নতুন করে সরকারি ঘোষিত সাতদিনের কঠোর লকডাউন চলছে।

এএইচ/