ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বৃষ্টি ও বন্যায় সবজি চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : 

প্রকাশিত : ১১:৪৮ পিএম, ৮ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার

কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও মাঝারি বন্যায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এখানকার সবজি চাষীরা। প্রতিবছরের হিসেব অনুযায়ী এবার দেরিতে অবিরাম বৃষ্টি আর বন্যায় তাদের এ অবস্থা। প্রায় ৮০ভাগ ফসল কৃষকরা ঘরে তুললেও জুনের শেষে বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে আটকে পড়ে সবজির গোড়া। ফলে বাড়তি লাভ করার স্বপ্ন তাদের ধুলিস্যাত হয়ে গেছে। টানা বৃষ্টিতে পাটখেত নিমজ্জিত হলে আগাম তা কেটে নিলেও সবজি খেতে তা সম্ভব হচ্ছেনা। 

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. মঞ্জুরুল হক জানান, বন্যায় ক্ষতির কথা ভেবে জেলায় প্রায় ১শ হেক্টর পাট আগাম কাটা হয়েছে। সদর উপজেলার ধরলা নদী তীরবর্তী পৌরসভা, হালোখানা, ভোগডাঙ্গা ও পাঁছগাছী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে কৃষকরা পাট কাটেন।এসব এলাকার কৃষকদের পটল,ঝিঙে,চিচিঙা,করলা,শশা,কাকরোলসহ লাল শাক,ধনেপাতা,পুঁই শাক,মুলা শাক পানিতে আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে।সোমবার সকালে সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার বেশ কিছু সবজী চাষী তাদের নিমজ্জ্বিত খেত থেকে সবজি উত্তোলন করছিলেন। 

উত্তর নওয়াবশ, দক্ষিণ নওয়াবশ,কদমতলা ও ছড়ার পাড়ের কৃষক জলিল,কাশেম, খলিল ও নুরুজ্জামান জানান,  গত বছর জুনের প্রথম সপ্তাহে বন্যার পানি এসে সব খেতের ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। এবার বন্যা না হলেও বৃষ্টির জলাবদ্ধতায় নীচু জমির খেতগুলো তলিয়ে গেছে। এতে শেষের দিকের ফসলগুলো প্রায় নষ্ট হওয়ার পথে। শুলকুর বাজারের কৃষক জব্বার আলী জানান, ৩০শতক জমির পটল খেত তলিয়ে গেছে। বেশ কিছু পটল আগে তুলে বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছি। 

গতবার বন্যার কারনে ভীষন ক্ষতি হয়েছে। এবার লাভ বেশি পাওয়া যেত।কিন্তু এ পানির কারনে একটু ক্ষতি হলো। ছড়ারপাড় গ্রামের কৃষাণি ছালেহা বেগম জানান, নীচু এলাকা হওয়ায় এখানে পাটখেতগুলো তলিয়ে যাচ্ছিল। এখনো হামার পাট পুরাট হয় নাই তাতো কাটি নিনো। এতে হামরা ৫/৭ কেজি কম পাট পামো হয়তো। 

আরকে//