ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সাদা মনের মানুষ ছড়াকার এনায়েত হোসেন আর নেই 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৫৯ পিএম, ১০ জুলাই ২০২১ শনিবার

রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত ছড়াকার এনায়েত হোসেন ইন্তেকাল করেছেন। ফরিদপুর শহরের সিএন্ডবি ঘাট রোড সংলগ্ন রেজওয়ান মোল্লা জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)।

শনিবার (১০ জুলাই) ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র, দুই কন্যা, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

রেজওয়ান মোল্লা জেনারেল হাসপাতালের ইনচার্জ ডা: রহমত আলী জানান, এনায়েত হোসেন কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন ও বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা দেখা দেয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জুলাই হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। তখন তিনি অচেতন ছিলেন এবং অবস্থা বিবেচনায় তাঁকে আমাদের হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। আজ শনিবার ভোর প্রায় সাড়ে ৪টায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

কর্মজীবনে এনায়েত হোসেন ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব সহকারী ছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি অবসরে যান।

তাঁর পারিবারিক নাম এনায়েত হোসেন মৃধা। ১৯৪৫ সালের ১ মার্চ ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। পিতার নাম বাছের মৃধা ও মাতা সাজেদা খাতুন সাজু।

১৯৭৯ সালে তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই ‘পালাবদলের ছড়া’ প্রকাশিত হয়। তারপর তাঁর নাম হয়ে যায় পালা বদলের কবি। তাঁর অন্যান্য গ্রন্থসমূহ- কচি কলিদের ছড়া, চোখের জলে আগুন জ্বলে, প্রতিবাদী ছড়া ও ভাব সংগীত, ছোটদের জসীম উদদীন, শ্রেষ্ঠ ছড়া, সুখের পাখি এবং রাজাপুর।

সাদামাটা ব্যক্তিত্ব ও কবিতার নান্দনিকতা তাঁকে এনে দিয়েছে সাহিত্যপ্রেমী ও সাধারণের ভূয়সী প্রশংসা। নানা সম্মাননা ও পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সাদা মনের মানুষ সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি। নকশী কাঁথা সাহিত্য পুরস্কার পান ২০০৯ সালে। ২০১৩ সালে পান সাংবাদিক গৌতম স্মৃতি পুরস্কার। আর কবি জসীম উদদীন স্বর্ণপদক পান ২০১৯ সালে।

এএইচ/