ঢাকা, সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৭ ১৪৩১

নোয়াখালীতে ২ ভুয়া র‌্যাব আটক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫১ পিএম, ১০ জুলাই ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০৫:১৮ পিএম, ১০ জুলাই ২০২১ শনিবার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে মাঈন উদ্দিন (৩৩) ও আব্দুল মন্নান পন্ডিত (৪৬) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাব। 

আটককৃতরা তাদের র‌্যাব ও র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনার সাথে জড়িত আরও তিনজন পলাতক রয়েছে।

শনিবার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রফিকপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মাঈন উদ্দিন ও একই গ্রামের ইমাম আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত মাঈন উদ্দিন ও আব্দুল মন্নানসহ পাঁচজন তাদের নিজেদের র‌্যাব সদস্য ও র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে স্কুল শিক্ষকসহ এলাকায় বিভিন্ন লোক থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় আসামীরা র‌্যাবের একটি প্যাড তৈরি করে তাতে স্থানীয় লোকজনের একটি নামের তালিকা তৈরি করে। পরে ওই তালিকায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের র‌্যাব গ্রেপ্তার করবে এমন হুমকি প্রদান ও তালিকা থেকে তাদের নাম কাটার জন্য ২০-৩০ হাজার করে টাকা দাবি করে। এরই মধ্যে তারা একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শুক্রবার রাতে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ রফিকপুর গ্রামের রফিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান চালায় র‌্যাব-১১, সিপিসি ৩ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের একটি দল। অভিযানকালে বিদ্যালয়ের পাশের সড়ক থেকে মাঈন উদ্দিনকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে স্থানীয় ৩২ ব্যক্তির নামের তালিকার র‌্যাবের ভুয়া প্যাড, নগদ টাকা ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আরেক আসামী আব্দুল মন্নান পন্ডিতকে আটক করা হয়।   

র‌্যাব-১১ সিপিসি-৩ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আটককৃত আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজসে সু-কৌশলে র‌্যাবের ডুিপ্লকেট (ভুয়া) প্যাড তৈরি করে তাতে বিভিন্ন লোকের নামের তালিকা করে, নিজেদের র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে, কখনো র‌্যাবে তাদের লোক আছে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছিল। এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
কেআই//