ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৩ পিএম, ১০ জুলাই ২০২১ শনিবার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রকৌশল দপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ হোসেনের মেয়াদ শেষ হবার দপ্তরটির দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান। সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হয়েও দপ্তরটির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার বলেন, প্রধান প্রকৌশলী না থাকলে কাজগুলো উপাচার্যকে করতে হয়। আমাদের একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার লাগবে। পাচ্ছিনা বলেই সাময়িকভাবে রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব দিয়েছি। প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব পালন করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী অবসর/গ্র্যাচুইটি বিধি ১৯(বি) অনুসারে প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ হোসেনের চাকরির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেষ হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে অবসর গ্রহণ করতে বলা হয়। ৩০ জুন প্রধান প্রকৌশলী অবসরে যাওয়ার পর ওই দপ্তরের রুটিন কাজগুলো রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান পালন করছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান জানান, আমি মূল দায়িত্ব পালন করছিনা। প্রধান প্রকৌশলী না থাকলে রুটিন কাজগুলো রেজিস্ট্রারকে পালন করতে হয়। আমি শুধু সে দায়িত্বটুকুই পালন করছি। যেমন গতকাল ওই দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বোনাস সম্পর্কিত যে চেকটি দিতে হয়েছে তাতে প্রধান প্রকৌশলী না থাকায় আমাকেই সাক্ষরটি করতে হয়েছে। যতোদিন প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ হচ্ছেনা ততোদিন রুটিন কাজগুলো আমাকে পালন করতে হচ্ছে। আমার প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব নেয়ার কোনো শখ বা ইচ্ছে নেই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন তুলেননি। সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেননা বলে একাধিক অভিযোগও রয়েছে প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ একাডেমিক ভবন (২য় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ) নির্মাণ প্রকল্পের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি অযোগ্যতা ও অদক্ষতার প্রমান প্রাপ্ত হওয়ায় প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ হোসেন, একই দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার-১ মোহাম্মদ মাহবুব আলম ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোল্যা খালেদ হোসেনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কমিটি কতৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত ১১ জানুয়ারী দুদকের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হলেও ৭ মাসে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কেআই//