আফগানিস্তানে প্রবেশে সুযোগের অপেক্ষায় চীন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৫৫ পিএম, ১১ জুলাই ২০২১ রবিবার
আফগানিস্তান থেকে চলমান মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মধ্যেই বেইজিং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে প্রবেশের সুযোগ খুঁজছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। আফগানিস্তানকে ব্যবহার করে চীনা সেনাবাহিনী ইরান বা পাকিস্তান হয়ে আরব সাগরে প্রবেশ করতে পারে।
ফক্স নিউজ জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি ইরান ও মধ্য প্রাচ্যের প্রবেশাধিকার এবং ভারত মহাসাগর ও আফ্রিকা যাওয়ার পথও সরবরাহ করতে পারে।
লেখক ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বিশেষজ্ঞ গর্ডন চ্যাং ফক্স নিউজকে বলেন, ‘চীনারা আরও দুষ্কৃতকারী। হ্যা, আমি মনে করি আমাদের চেয়ে আফগানিস্তানে তাদের লক্ষ্য অর্জনের আরও ভাল সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে আরও ভাল সুযোগ পাওয়ার অর্থ এই নয় যে তারা সফল হবে। আমি মনে করি তারা কেবল ব্যর্থ হতে আরও সময় নিবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চীনকে দুর্দম্য অঞ্চলে সম্পর্ক স্থাপন করতে দেখেছি, তবে এটি তাদের জন্য আরও বড় প্রতিশ্রুতি হবে। আফগানিস্তান চীন সীমান্তের ১৪টি দেশের মধ্যে একটি। চীন একবার আফগানিস্তানে প্রবেশ করলে তাদের পক্ষে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠবে।’
চীনা নেতারা ইতোমধ্যে চীনের আন্তর্জাতিক ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’র মাধ্যমে আফগানিস্তানের অবকাঠামোয় বিনিয়োগের জন্য কাবুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তি নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
গর্ডন চ্যাং বলেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টি স্থানীয় সম্পদসমূহের নিয়ন্ত্রণের বিনিময়ে দরিদ্র দেশগুলোকে অবকাঠামো ঋণ দিয়ে চীনের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এর মধ্যে আফগানিস্তানে তাদের সুযোগ যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে।’
আফগান ও পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত জিনজিয়াং প্রদেশের ১২ মিলিয়ন উইঘুরদের ওপর চীনের গণহত্যা-নিপীড়ন তালেবানরা উপেক্ষা করবে। চ্যাং মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হলো আফগানিস্তানের তালেবান নয়, চীন। সূত্র: এএনআই
এসি