ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রংপুরে এক পরিবারে ৬সন্তানের মধ্যে ৫জনই থ্যালাসামিয়া রোগে আক্রান্ত

প্রকাশিত : ১২:৩৫ পিএম, ২১ জুন ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০১:২৩ পিএম, ২১ জুন ২০১৭ বুধবার

৫ বিঘা জমি আর শিক্ষকতার আয়ে ভালই চলছিলো রংপুরে সোলেয়মান আলীর সংসার। কিন্তু হঠাৎ কালো মেঘ নেমে এল সংসারে। জানা গেল তার ৬ সন্তানের মধ্যে ৫ সন্তানই থ্যালাসামিয়া রোগে আক্রান্ত। এরই মধ্যে এক ছেলে মারা গেছে। আরেক ছেলে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। জমি জমা বিক্রি করে এতদিন চিকিৎসা চললেও এখন সর্বশান্ত পরিবারটি।

রংপুর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে প্রত্যন্ত গ্রাম ভাংনি আদর্শপাড়া। এ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সোলায়মান আলীর বাড়িটি ঘিরে যেন দীর্ঘশ্বাস আর দু:খরা ঘুরে বেড়ায়। এ বাড়ির ৫ ছেলেমেয়ে থ্যলাসামিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতি ২/৩ মাস পর রক্ত নিতে নিতে ওরা আজ ক্লান্ত।

সোলায়মান আলী জানান জমি চাষাবাদ করে মোটামুটি সুখেই চলছিলো সংসার। ১০ বছর আগে তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ৫ ছেলে ও এক মেয়ে দুরারোগ্য থ্যালাসামিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। এরই মধ্যে সাইফুল নামে এক ছেলে মারা যায়। এখন তার দুই ছেলে রবিউল ইসলাম, শাহিন, এক মাত্র মেয়ে তাসনিমা বেগম, বড় ছেলে শহিদুল ইসমলামের ২ শিশু সবাই আক্রান্ত। গড়ে তাদের জন্য মাসে ব্যয় হয় ২০ থেকে ২৫ হাজহার টাকা। অর্থাভাবে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসা।

পরিবারের একমাত্র সুস্থ সন্তান শফিকুল। এম এ পাশ করে বেকার। তার আকুতি একটা চাকরী হলে ভাইবোনদের চিকিৎসা আবার শুরু করতে পারবে সে।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান আক্রান্তদের সুস্থ্য রাখতে দরকার রক্ত, ওষুধ ও ভালো খাবার দাবার।
রোজার মাস। প্রতিদিন কত খাবার আর নতুন জামা কাপড় কিনছে মানুষ। অথচ এক অসহায় বাবা তার সন্তানদের মুখে দুমুঠো ভালো খাবার আর চিকিৎসা করাতে না পেরে একাকী কাঁদছেন। অসহায় বাবার এই কান্না কি ছুঁয়ে যাবে না কোনো সহৃদয়বান মানুষের মন?