ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা পাঠের যথাযথ উপকরণের অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না

প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৩৬ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ মঙ্গলবার

ক্ষুদ্র নৃ- তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষার লিখিতরূপ ও পাঠের যথাযথ উপকরণের অভাবে এসব ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না। খোদ শিক্ষামন্ত্রী এমন তথ্য দিয়ে বলেছেন, তবে এক্ষেত্রে গবেষণার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে শিগগিরই এসব জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় প্রথম পাঠ চালু সম্ভব হবে। পাশাপাশি, উন্নয়ন সংস্থাগুলোও পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করেছে এবং এতে ভালো ফলাফলও মিলেছে সরেজমিনে। mother languageপাহাড়ের কোল ঘেঁষে, নাইখংছড়ির সোনাইছড়ি ক্যাম্প পাড়া। প্রত্যন্ত এ অঞ্চলে, এক’শ পরিবারের জনা তিরিশেক শিশু কে প্রথম পাঠ দেয়া হচ্ছে। বিশেষত্বের জায়গাটা হলো, পাহাড়ি শিশুদের আলোকিত করা হচ্ছে তাদের মায়ের কন্ঠের শেখা ‘মারমা’ ভাষায়। শিক্ষকও একই নৃ গোষ্ঠীরই এক জন; স্কুল ঘরটাও তাদের মতো করে তৈরি। মাতৃভাষায় পাঠন-পঠনে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ভাষা আত্বস্থের ভিতকে শক্ত করবে, এই লক্ষ্যে পুরো বান্দরবানে ত্রিশটা কেন্দ্রে দুই বছর এই কার্যক্রম চলছে। সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের সম্পূরক কার্যক্রম হিসেবে-উন্নয়ন সংস্থার, মাধ্যমে বিশেষ ধরনের এই ‘শিক্ষণ স্কুল’, পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের সদিচ্ছার কোন কমতি নেই, কিন্তু নৃ গোষ্ঠীর নিজ নিজ ভাষায় পাঠ দেবার মত পাঠের যথাযথ উপকরণ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, গবেষণা ও পাঠ্যক্রম উন্নয়ন থেমে নেই; পরীক্ষামূলক এসব কর্মসূচীর অভিজ্ঞতা সহায়ক হবে বলেই মত শিক্ষামন্ত্রীর।