ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

করোনায় বাধাগ্রস্ত পোল্ট্রি ফিডের রপ্তানি-বাণিজ্য (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ১১:৩৮ এএম, ১৫ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার

করোনার প্রভাবে ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমার পাশাপাশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পোল্ট্রি ফিডের রপ্তানি-বাণিজ্য। ২০২০ সালের মার্চের পর মুরগীর বাচ্চার উৎপাদনও একপর্যায়ে প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। মাঝের কিছুটা সময় ভালো থাকায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল পোল্ট্রি খাত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হওয়ায় ফের ঝুঁকিতে এ শিল্প। 

২০২০ সালের মার্চের আগে দেশে সপ্তাহে পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয় গড়ে ২ কোটি ৫০ লাখ। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে এক পর্যায়ে তা ১ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে।

তবে গেল বছরের শেষ ও চলতি বছরের প্রথম কয়েক মাসে আবারও বাড়তে শুরু করেছিল বাচ্চার উৎপাদন। উদ্যোক্তাদের মাঝেও ফিরছিল স্বস্তি। কিন্তু ফের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সংকটের পড়ার শঙ্কায় উদ্যোক্তারা।

আফতাব বহুমুখী ফার্মসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এল ফজলে রহিম খান বলেন, করোনাকালে শুধুমাত্র ৭ মাস উৎপাদন খরচের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছিল খামারীরা।

২০১৯ ও ২০২০ সালে ত্রিপুরা, আসাম-সহ ভারতের কয়েকটি অঙ্গরাজ্য এবং নেপালে মোট ২৯৫ মেট্রিক টন পোল্ট্রি ফিড রপ্তানি করে দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু করোনায় বাধাগ্রস্ত হয় রপ্তানি-বাণিজ্য।

ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি এহতেশাম বি শাহজাহান বলেন, টেস্টিং হচ্ছে না, মাল রিলিজ হচ্ছে না- এমনও আছে মাল দুই-তিন মাস পোর্টে পড়ে আছে। আমাদেরকে একাধারে ড্যামারেজ দিতে হচ্ছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, রপ্তানি ব্যাহত হওয়ার মধ্যেই সমস্যা আটকে নেই। স্থানীয় পর্যায়েও ফিডের চাহিদা কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে কাঁচামালের দাম বাড়ছে। সরকারি নীতিসহায়তা না পেলে সংকট বাড়বে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোল্ট্রি শিল্পে চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ অসম্ভব নয়। সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী এখাতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে পারে। 

বিআইডএস গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন বলেন, তারা যে প্রণোদনা আশা করে, ব্যাংকের লোন যেন দ্রুত পেতে পারে সে বিষয়গুলোতে মনোযোগ হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।

পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে জানিয়ে উদ্যোক্তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, করোনাকালে আমাদের খামারীদের ৫% সরল সুদে লোন দেয়া হয়েছে। এর বাইরেও ৬ লাখ ২০ খামারীকে আমরা নানাভাবে প্রণোদনা দিয়েছি।

ভিডিও-

এএইচ/