কারওয়ানবাজারে প্রান্তিক মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:১৩ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার
করোনা মহামারীর দু:সময়ে কারওয়ানবাজার এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের হাতে মাস্ক তুলে দেন সংগঠনের কর্মীরা। তাদের বোঝানো হয়, সারাক্ষণ মাস্ক ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে। পাশাপাশি দরিদ্র মেহনতি মানুষের হাতে এক বেলার খাবার তুলে দেন সম্প্রীতির কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকা ছিল জনাকীর্ণ। হাজার হাজার মানুষ করোনা মহামারী থেকে রেহাই পেতে যথার্থ নিয়ম না মেনে চলাচল করছিলেন। এ সময় সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাট্যজন পীযুষ বন্দোপাধ্যায় হ্যান্ডমাইকে করোনা বিধি মানার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে প্রথম এবং কার্যকরী উপায় হলো মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি হাত ধোয়া নিশ্চিত করা। রুটিন করে তাই রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত জনপদেও বহুমাত্রিক সেবা কার্যক্রম চালাচ্ছে এ সংগঠন। এ সময় সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সদস্য হেলাল উদ্দিন, সাইফ আহমেদ, ড. অখিল পোদ্দার, তাপস হালদার, কবির আহমেদ খান, খোকন কুমার রায়, আবু তালেব, অনয় মুখার্জীসহ অন্যরা।
করোনা বিধি মেনে সংক্ষিপ্ত সভায় সম্প্রীতির আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, মহামারী শুরুর পর থেকেই আমরা মানুষের পাশে আছি। ভবিষ্যতেও থাকবো অপরাপর দুর্যোগ-দু:সময়ে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সম্প্রীতি বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকেরা রুটিন করে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আঞ্চলিক কিছু সংগঠনও যৌথভাবে সম্প্রীতির সঙ্গে কাজ করছে।
পীযুষ বন্দোপাধ্যায় আরও বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনভর গণমানুষের পাশে ছিলেন। এমনকি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত তিনি সন্নিবিষ্ট ছিলেন এদেশের আপামর মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে। আমরা সম্প্রীতির কর্মীরা জনকের আদর্শে অনুপ্রাণিত। তাঁর চিন্তা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে দুর্যোগকালে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
সম্প্রীতির সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা ও মননের এ সংগঠন সকল শ্রেণি পেশার মানুষের অবারিত মেলবন্ধন। ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস আর শক্তি নিয়ে আমাদের সেবা কার্যক্রম দেশব্যপী চলমান। সম্প্রীতির শ্লোগান সাম্যের গান গাওয়া। আমরা মানুষের সঙ্গে তাই সারাক্ষণ যুক্ত আছি।
উল্লেখ্য, করোনা শুরুর পর থেকে সম্প্রীতি বাংলাদেশ দেশব্যপী নানামাত্রিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। শতাধিক চিকিৎসকের প্যানেল করে টেলিফোনে নিয়মিত করোনাসেবাসহ অন্যান্য চিকিৎসাও দিচ্ছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। মানুষকে সচেতন করতে সপ্তাহান্তে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে অব্যাহত রয়েছে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশ্ন ও তার সমাধান।
এসি