নিজের দায়িত্ব নিতে হবে নিজেকেই
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১৬ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২১ শুক্রবার
প্রবাদ আছে, Patient cure themselves, doctors show the way. নব্য চিকিৎসাধারার প্রবর্তক ও খ্যাতনামা চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডা. ডিন অরনিশ, ডা. দীপক চোপড়া, ডা. এন্ড্রু ওয়েল, ডা. কার্ল সিমনটন, ডা. বার্নি সিজেল, ডা. জন রবিন্স প্রমুখ ‘বডি, মাইন্ড, স্পিরিট’ সাময়িকীর ১৯৯৭ সালের একটি বিশেষ সংখ্যায় ‘একবিংশ শতকের স্বাস্থ্য’ শীর্ষক প্রচ্ছদ-নিবন্ধে বলেন, সুস্থ থাকতে হলে নিজের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নিজেকেই গ্রহণ করতে হবে। নিজেকে নিরাময় করার ক্ষমতা প্রতিটি মানুষের সহজাত ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত।
আমেরিকার হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের প্রফেসর ও প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হার্বার্ট বেনসন বলেন, একজন মানুষ রিল্যাক্সেশন, মেডিটেশন, ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন। বর্তমানে রোগীরা যেখানে ওষুধ বা সার্জারির ওপর নির্ভর করছে, সেখানে তাদেরকে নিজেদের ওপর নির্ভর করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অর্থাৎ আপনার স্বাস্থ্য ও নিরাময়ের দায়িত্ব নিতে হবে আপনাকেই। ডাক্তার, ওষুধ, সার্জারি সবই হবে আপনার সহযোগী শক্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর জ্যেষ্ঠ গবেষক ডা. জন রবিন্স বলেন, রোগীরা মনে করে যে, সুস্বাস্থ্য ও নিরাময় রয়েছে ডাক্তার, ড্রাগ স্টোর আর হাসপাতালে। রোগীদের ধারণা, ডাক্তার তাদের কোনো একটি ধন্বন্তরী ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা ইনজেকশন দিয়ে ভালো করে দেবেন। এ আশায় রোগীরা ডাক্তারের পর ডাক্তার আর ওষুধের পর ওষুধ বদলান, কিন্তু পূর্ণ নিরাময় লাভ করতে ব্যর্থ হন। তিনি বলেন, আসলে নিরাময় ও রোগমুক্তির ক্ষমতা আমাদের মনোদৈহিক সিস্টেমের মধ্যেই রয়েছে। চিকিৎসক শুধু সহায়ক শক্তিমাত্র।
লেখাটি ডা. মনিরুজ্জামান ও ডা. আতাউর রহমান এর লেখা এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই ‘হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক বই থেকে নেয়া হয়েছে।
আরকে//