করোনার মধ্যেই জমে উঠেছে গরুর হাট, ইচ্ছেমতো খাজনা আদায়
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২১ রবিবার | আপডেট: ০১:৩২ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২১ রবিবার
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই জমে উঠেছে কুড়িগ্রামের হাট
ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে কুড়িগ্রামে জমে উঠেছে গরুর হাট। দাম অনেক বেশি হলেও গরু কিনেই বাড়ি ফিরছে মানুষ। বড় হাটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দেদারসে চলছে গরু কেনা-বেচা। সুযোগ পেয়ে রশিদ ছাড়াই দু’পক্ষের কাছ থেকেই ইচ্ছেমতো খাজনা নিচ্ছে ইজারাদার। তদারকির অভাবে নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই।
সরকারের কঠোর লকডাউন শিথিল করার পর ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) থেকে কুড়িগ্রামেও শুরু হয়েছে কোরবানির গরু ও ছাগলের হাট। শেষ মুহূর্তের কেনা-বেচা চলছে বেশ জোরেসোরেই। পশুর হাটগুলোতে যেন কেনা-বেচার ঢল নেমেছে। উপচে পড়া ভিড়ে গাদাগাদি করে পশু কেনা-বেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতাগণ।
এবারের ঈদে হাটসমূহে ভারতীয় গরু না আসায় খামারী ও চরের গরুর মালিকগণ বেশি দাম পাচ্ছেন। হাটগুলোতে খামারীদের গরুর দামই বেশ চড়া। এসেছে ছোট বড় বিভিন্ন রকমের দেশী গরু। অনেকেই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে এবারের লকডাউন থাকায় বাইরের ও ভারতীয় গরু আসতে পারেনি বলে জানান। অন্যদিকে দাম ভালো পাওয়ায় খামারীরা খুশি হলেও অখুশি ক্রেতা সাধারণ। তবুও বাধ্য হয়েই সাধ্যের মধ্যে কোরবানির পশু নিয়েই ঘরে ফিরছেন মানুষ। অনেকেই পায়ে হেঁটে হাটে এসেছেন গরু-ছাগলসহ কোরবানির পশু কিনতে।
গরুর পাশাপাশি ছাগলের দামও বেশ চড়া। ভালো দাম পেয়ে খামারী ও এসব গবাদি পশুর মালিকগণ বেশ খুশি। তবে তদারকির অভাবে রশিদ ছাড়াই ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত খাজনা নিচ্ছেন ইজারাদাররা।
এদিকে, সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব হাট পরিচালনা করার নির্দেশ থাকলেও শেষ মুহূর্তের হাটসমূহে নেই কোনও স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই। যদিও হাটগুলোতে ইজারাদার ও তাদের লোকজন মাইকিং করে ঘোষণা দিচ্ছেন- শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরু ছাগল কেনা বেচা করতে। তবুও সেদিকে কারো নেই কোনও ভ্রুক্ষেপ। হাটে আসা অধিকাংশ মানুষেরই মুখে নেই মাস্ক। ফলে করোনা সংক্রমণের পরিধি আরও বেড়েই যাচ্ছে। এ অবস্থায় সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, এবার কুড়িগ্রামে স্থায়ী পশুর হাট বসেছে ১৫টি ও অস্থায়ী ১৪টি। জেলায় কোরবানির জন্য গবাদি পশুর চাহিদা ৯৫ হাজার হলেও এবার উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব হাটে পশু কেনা-বেচার আহ্বান জানান তিনি।
এনএস//