হিলিতে জমজমাট মসলার বাজার: দাম কমায় খুশি ক্রেতারা
হিলি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৬:৫০ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২১ সোমবার
আর মাত্র দুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানীর পশু কেনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মসলা কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দিনাজপুর হিলিতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। প্রতিবছর ঈদের আগে মসলার দাম বাড়লেও এবারের চিত্র অনেকটা উল্টো সব ধরনের মসলার দাম কম। যার কারনে শেষ মুহুর্তের বেচাকেনায় জমে উঠেছে মসলার বাজার,দাম কম হওয়ায় খুশি ক্রেতারা,তবে বেচাকেনা জমে উঠলেও গতবারের মতো বিক্রি নেই দাবী ব্যবসায়ীদের।
দেশের সীমান্তবর্তী ও স্থলবন্দর এলাকা হিলি, তাই এখানকার মসলার দাম কম ও মান ভালো হওয়ায় এর চাহীদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। ঈদে কোরবানির পশু কেনাকাটার পরেই রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মসলার দরকার। সেই মসলার চাহীদা মেটাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মসলা কিনতে হিলিতে ভিড় করছেন অনেকে। নিচ্ছেন পরিবারের চাহীদামতো বিভিন্ন মসলা তুলনামুলক দাম কম হওয়ায় খুশি ক্রেতারা।
হিলি বাজারে বগুড়া থেকে মসলা কিনতে আসা রেজাউল ইসলাম বলেন, আর মাত্র দুদিন পরেই কোরবানীর গরু কিনা শেষ হয়েছে এখন মসলার দরকার সেকারনে হিলিতে আসছি মসলা কিনতে। বাজারে জিরা, কালো এলাচ, সাদা এলাচসহ প্রয়োজনীয় মসলা কিনলাম তবে দাম গতবারের চেয়ে কিছুটা কম যার কারনে আমাদের মতো ক্রেতাদের বেশ সুবিধা হয়েছে।
হিলি বাজারে মসলা কিনতে আসা স্থানীয় এলাকাবাসী আজিজুল হক বলেন, মসলা কিনতে এসে যা দেখলাম তাতে করে গতবারের চেয়ে দাম কম বলে মনে হচ্ছে। গতবার যে সাদা এলাচ ৩ হাজার টাকা কেজি নিয়েছিলাম এখন সেটি কমে পাওয়া যাচ্ছে। যে জিরা ৩শ টাকা কেজি ছিল তা এখন কমে ২৭০টাকায় পাওয়া যাচ্ছে মোটামুটি সবধরনের মসলার দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে। আমরা স্বল্পমুল্যে মসলা কিনতে পারছি এতে আমাদের বেশ সুবিধা হয়েছে।
হিলি বাজারের মসলা বিক্রেতা আওলাদ হোসেন বলেন, সবধরনের মসলার দাম কমেছে আগে ১কেজি জিরার প্যাকেট ছিল ২শ ৯০ থেকে ২শ ৯৫ টাকা তা থেকে কমে এখন হয়েছে ২৭০টাকা, সাদা এলাচ আগে ২হাজার ৮শ থেকে ৩হাজার ৫শ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২ হাজার থেকে ২হাজার ২শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর কালো এলাচ দাম কমে ৬শ থেকে ৬শ ৫০টাকা বিক্রি হচ্ছে। লবঙ্গের দাম একটু বেড়ে ১হাজার টাকা কেজি, গোলমরিচ আগের মতোই ৬শ টাকা কেজি, দাড়চিনি আগে ২৮০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা একটু বেড়ে ৩৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বস ৪শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপর মসলা বিক্রেতা বিশ্বনাথ বলেন, ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় বাজারে মানুষের বেশ চাপ রয়েছে বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। করোনা ও লকডাউনের কারনে পুর্বে যেমন বাহিরের মানুষ আসতো মসলা কিনতে সে তুলনায় এবারে মানুষজন কম আসছে। যার কারনে গত ঈদের চেয়ে বেচাকেনা তুলনামুলক একটু কম মনে হচ্ছে। এখনো দুদিন সময় রয়েছে এই দুদিন আরো বিক্রি হবে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বাজারে মসলার ব্যাপক চাহীদার কথা মাথায় আমরা অনেক আগে থেকেই হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে মসলা জাতীয় বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপক আমদানি করেছি। ইতোমধ্যেই দেশের বাজারে ব্যাপক পরিমানে মসলা জাতীয় বিভিন্ন পণ্য এসেছে। তাই ঈদে দেশের বাজারে মসলার ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে, ইতোমধ্যেই সবধরনের মসলার দাম কমেছে। ঈদকে ঘিরে বাজারে মসলার দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরকে//