পর্ন-কাণ্ডে শিল্পা শেঠির স্বামী গ্রেফতার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৮ পিএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:১৮ পিএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রা। পর্ন ছবি কাণ্ডে সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার সিএমএম আদালতে পেশ করার হয়েছে অভিযুক্তকে।
স্বামীর এমন দুর্দিনে অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি কোথায়? বলিউড সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, তিনি বোন শমিতা শেঠি এবং মায়ের সঙ্গে জুহুর বাংলোয় রয়েছেন।
এই মুহূর্তে শিল্পা নাচের রিয়্যালিটি শো ‘সুপার ড্যান্সার ৪’-এর অন্যতম বিচারক। খবর, রাজের আচমকা গ্রেফতারিতে হতবাক তিনিও। মঙ্গলবার তিনি শ্যুটে আসেননি। সবার থেকে, সমস্ত কাজ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন তিনি।
এ দিকে পর্ন-কাণ্ডে শিল্পা শেঠি স্বামী রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতারের এক দিন পরই গ্রেফতার হলেন তার সহযোগী রায়ান থর্প। থর্পকে পর্ন ছবির প্রযোজনা ও ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ।
এর আগে মডেল-অভিনেত্রী সাগরিকা সোনা সুমনকে ওয়েব সিরিজে অভিনয় করার সুযোগ দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন রাজ কুন্দ্রা। কিন্তু অডিশন নেওয়ার সময়ে পোশাক খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় মডেলকে। ফেব্রুয়ারি মাসে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সাগরিকা।
অভিযোগ জানানোর সময়ে তিনি দাবি করেছিলেন, যৌনপেশায় যে বড় চক্রান্ত চলছে, তার পিছনে শিল্পা শেঠির স্বামী কুন্দ্রার বড় রকমের ভূমিকা রয়েছে। যে তিন জন তার অডিশন নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যেই এক জন ছিলেন রাজ। গত বছর অগস্ট মাসে সেই অডিশনটি নেওয়া হয়েছিল ভিডিও কল করে।
মুম্বাই পুলিশ জানায়, রাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পর্ন বানানোর পাশাপাশি তিনি তা বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেন মুঠোফোনে। প্রশাসন আরও জানিয়েছে, ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারীও রাজ। সে সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ হাতে রয়েছে মু্ম্বই পুলিশের।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মহত্যার পরেই গত এক বছর ধরে মাদক কাণ্ডে টালমাটাল বলিউড। মায়ানগরীর বহু রথী-মহারথীকে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর দফতরে। সেই রেশ কাটার আগেই ফের জোর ধাক্কা টিনসেল টাউনে।
রাজের গ্রেফতারির খবর স্তব্ধ করে দিয়েছে হিন্দি ছবির দুনিয়াকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অবৈধ সরঞ্জামের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। রাজ ছাড়া আর কারা জড়িত এই অপরাধে? আপাতত সেই উত্তরই তদন্তকারী অফিসারদের প্রধান লক্ষ্য।
এসি