বাংলাদেশকে ২৯৯ রানের লক্ষ্য দিল জিম্বাবুয়ে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৫২ পিএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:০৪ পিএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার
তিনশ ছোঁয়া হলো না জিম্বাবুয়ের। বাংলাদেশের বোলিং ব্যর্থতায় বেশ ভালই রান করছিল। এর মধ্যে শেষ দিকে এসে একের পর এক উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সবকটি উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করেছে ৪৯.৩ ওভারে ২৯৮ রান।
সিরিজের সেরা ব্যাটিং উইকেটে শুরুটা ভালো করেও এক পর্যায়ে তারা অস্বস্তিতে ছিল ১৭২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে। ষষ্ঠ উইকেটে সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্লের দারুণ জুটি দলকে এগিয়ে নেয় বড় স্কোরের পথে। ৮০ বলে ১১২ রানের জুটি গড়েন দুজন। শেষ তিন ওভারে প্রত্যাশিত রান না উঠলেও শেষ ১০ ওভারে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ৯৪ রান।
আগের দুটি ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং দুর্দান্ত হলেও এ দিন ছিল একদমই বিবর্ণ। তাসকিন ছিলেন অধারাবাহিক, সাইফ উদ্দিন এলোমেলো। দলে ফিরে মুস্তাফিজ ছিলেন ভালো-মন্দ মিলিয়ে। সাকিব খারাপ করেননি। তবে দলের সেরা বোলার হিসেবে মাহমুদউল্লাহকে বলা যায়।
সবকিছু মিলিয়ে এখন এই চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে হলে অনেক ভালো খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
এই ম্যাচে শুরু থেকেই বেশ সাবধানী ছিল জিম্বাবুয়ের। টস জিতে শুরুতে বোলিং নিলেও বাংলাদেশের দুই পেসার উইকেট ফেলতে পারেননি। বরং নবম ওভারে বোলিং করতে এসে ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সুইপ করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউতে ফেরেন ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি (৮)।
প্রথম উইকেট পতনের পর সম্ভাবনাময় দেখাচ্ছিল টেলর ও চাকাভা জুটি। শুরুর অস্বস্তি কাটিয়ে উঠে তারা। হয়তো আরও ভয়ানক হয়ে ওঠতে পারতো এই জুটি, তার আগেই ১৮তম ওভারে এই জুটি ভেঙেছেন দুইশোতম ওয়ানডে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ। ফেরান ২৮ রান করা টেলরকে।
অধিনায়ক ফিরলেও হাল ধরেন রেজিস চাকাভা। ডিয়োন মায়ার্স এর সঙ্গে জুটি গড়ে তুলে নেন ৭১ রান। পরে এই প্রতিরোধ ভেঙে আবারও স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহই। ৩৪ রান করা মায়ার্স ফিরে যান বোল্ড হয়ে।
এর আগে হারারেতে ষষ্ঠ হোয়াইটওয়াশের মিশনে শুরুতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন। সাড়ে চার বছর পর দলে খেলতে নেমেছেন নুরুল হাসান সোহান।
বাংলাদেশ এরই মধ্যে সিরিজটি ২-০ তে নিশ্চিত করে ফেললেও তৃতীয় ওয়ানডেটি মাহমুদউল্লাহর জন্য মাইলফলকের ম্যাচ। ২০০তম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বোলিংও করতে আসেন অষ্টম ওভারে। তাকে দিয়ে দলীয় ৯ম ওভারেই পাঁচ বোলার ব্যবহার করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ৪৯.৩ ওভারে ২৯৮ (চাকাভা ৮৪, মারুমানি ৮, টেইলর ২৮, মায়ার্স ৩৪, মাধেভেরে ৩, রাজা ৫৭, বার্ল ৫৯, জঙ্গুয়ে ৪* টিরিপানো ০, চাতারা ১, মুজারাবানি ০; তাসকিন ১০-১-৪৮-১, সাইফ ৮-০-৮৭-২, মুস্তাফিজ ৯.৩-০-৫৭-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪৫-২, সাকিব ১০-০-৪৬-১, মোসাদ্দেক ২-০-১৩-০)।
এসি