ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিয়ের পণে ২১ নখের কচ্ছপ দাবি পাত্রের, পাত্রীপক্ষের মামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ এএম, ২৪ জুলাই ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০৯:৫২ এএম, ২৪ জুলাই ২০২১ শনিবার

বিয়ের আগেই সব মিলিয়ে ১২ লাখ টাকাসহ সোনার গয়না পণ চেয়েছিল পাত্রপক্ষ। তবে সে দাবি মেটালেও পাত্রপক্ষের চাহিদার শেষ নেই। এবার তাদের দাবি, প্রায় ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা অর্থমূল্যের ২১টি নখওয়ালা একটি বিরল কচ্ছপ দিতে হবে। তবে কচ্ছপ জোগাড় করতে অপারগ হওয়ায় বিয়ে ভেঙে দেয় পাত্রপক্ষ। 

ঘটনাটি ভারতের মহারাষ্ট্রের। বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার পর পণের টাকা ফেরত না দেয়ার অভিযোগে ওই পাত্র-সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে পাত্রীর পরিবার।

পুলিশের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ান এবং তার পরিবারের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ওসমানপুরা থানায় এফআইআর করা হয়েছে। আওরঙ্গাবাদের ওই পাত্র নাশিকে থাকেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই সেনা জওয়ানের সঙ্গে বিয়ের কথা চলে আসছিল।

পাত্রীপক্ষের অভিযোগ, পাকা কথার আগে‌ই ২ লাখ টাকাসহ ১০ গ্রাম সোনা পণ দেওয়া হয়েছিল পাত্রপক্ষকে। তাদের দাবি ছিল আরও ১০ লাখ টাকার। দিনের পর দিন পণের দাবি বাড়তে ছিল পাত্রপক্ষের। এবার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ, ল্যাব্রাডরের সঙ্গে বুদ্ধমূর্তি এবং দামি ল্যাম্পস্ট্যান্ডের দাবি করে তারা।

প্রসঙ্গত, ২১টি নখওয়ালা ওই বিরল প্রজাতি কচ্ছপ ভাগ্যবদল করতে পারে বলে অনেকের বিশ্বাস। তবে কোনভাবেই সে কচ্ছপ খুঁজে পায়নি পাত্রীপক্ষ। যার জেরে বিয়ে ভেঙে দেয় পাত্রপক্ষ। তবে পণের টাকা বা সোনার কিছুই ফেরত দিতে রাজি নয় তারা। এরপরই পুলিশে যায় পাত্রীর পরিবার।

তদন্তকারী সাব-ইনস্পেক্টর সাধনা অবহাড় বলেন, ‘পণের দাবি মেটাতে না পেরে পাত্রীর বাবা অত্যন্ত অসহায় হয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন। ওই পাত্র-সহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবং ৩৪ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের পর হয়তো আরও ধারা যোগ করা হবে।’

এএইচ/