প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিলেন ড. নাশিদ কামাল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৪ এএম, ২৬ জুলাই ২০২১ সোমবার | আপডেট: ১০:০৭ এএম, ২৬ জুলাই ২০২১ সোমবার
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেসে ডিন হিসেবে যোগদান করেছেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী, লেখক ও গবেষক প্রফেসর ড. নাশিদ কামাল। রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মেসবাহ কামালের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানানো হয়।
এসময় প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এস এম মাহমুদুল হক, এমবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসাইন, ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারপার্সন ও সহকারী অধ্যাপক আতিকুর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) আনিস উদ দৌলা, বাণিজ্য অনুষদের সকল শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ড. নাশিদ কামাল একজন কণ্ঠশিল্পী, লেখিকা ও জনসংখ্যাতত্ত্ব বিষয়ের অধ্যাপিকা। তিনি বাংলা লোকগীতির বিখ্যাত শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদের বড় নাতনি। তিনি নজরুল সংগীতের শিল্পী হিসেবে বিখ্যাত। নজরুল সংগীতে অবদানের জন্য ২০০৯ সালে ‘নজরুল পুরস্কার’ এবং ২০১৪ সালে নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে ‘নজরুল পদক’ পেয়েছেন তিনি।
ড. নাশিদ হলিক্রস গার্লস হাইস্কুল থেকে ১৯৭৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে মেয়েদের মেধাতালিকায় ৭ম স্থান অধিকার করেন। একই কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় সমন্বিত মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন তিনি। এরপর ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতকে প্রথম হন।
এরপর তিনি কানাডার কার্লেটন বিশ্ববিদ্যালয় (অটায়া) থেকে ১৯৮২ সালে গণিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। লন্ডনের ক্যামডেন এ ‘লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন’- এ মেডিকেল ডেমোগ্রাফিতে ডক্টোরাল ডিগ্রির জন্য যান এবং ১৯৯৬ সালে তিনি পিএইচডি লাভ করেন।
তাঁর প্রফেশনাল ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৮৩ সালে, তখন তিনি আইসিডিডিআরবিতে যোগদান করেন। সেখানে তিন বছর কাজ করেন। বাংলাদেশ এবং সুদানের হয়ে ইউএনএফপিএ-এর উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি। তাঁর প্রকাশনা বহুল স্বীকৃত স্বাস্থ্য জার্নাল দ্য ল্যানসেটসহ ২৫টিরও বেশি পিয়ার রিভিও জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ড. নাশিদ কামাল ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট (আই.এস.আর.টি)তে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি ইনডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় প্রকাশিত ড. নাশিদ কামালের ১৩টি বই রয়েছে৷ তিনি কল্পকাহিনী (উপন্যাস এবং ছোট গল্প), কবিতা, জীবনী, অনুচ্ছেদ এবং রচনাসমগ্র লিখেছেন। এছাড়াও তিনি বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম ইংরেজিতে অনুবাদ করেন, যেখানে নজরুলের সাহিত্যকর্ম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এএইচ/