করোনায় চট্টগ্রামে রেকর্ড ১৮ জনের মৃত্যু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা, হার ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩১০ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ৩৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় সৃষ্ট শারীরিক জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন ১৮ জন। যা এযাবতকালের সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট ছাড়াও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও ৯ ল্যাবরেটরিতে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ৩ হাজার ৩৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১ হাজার ৩১০ জনের মধ্যে শহরের ৮৩৩ ও ১৪ উপজেলার ৪৭৭ জন।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে আনোয়ারায় সর্বোচ্চ ৬৭, বোয়ালখালীতে ৬৫, হাটহাজারীতে ৫৯, পটিয়ায় ৫৭, রাউজানে ৫৪, রাঙ্গুনিয়ায় ৪৪, ফটিকছড়িতে ৩০, সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপে ২৩ জন করে, বাঁশখালীতে ২১, সাতাকানিয়ায় ১৮, মিরসরাইয়ে ১২, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়ায় ২ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৭৭ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে শহরের ৫৮ হাজার ৩২৩ ও গ্রামের ১৯ হাজার ১৯৮ জন।
করোনায় মৃতদের মধ্যে শহরের ৭ ও গ্রামের ১১ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৯১৫ জন হয়েছে। এতে শহরের ৫৫৪ ও গ্রামের ৩৬১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৭২ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬১৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ হাজার ৬১৯ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৬ হাজার ৯৯৯ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩১২ জন। ছাড়পত্র নেন ১৬৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ৭৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে গতকাল সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২৯০ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ১৮৭ ও গ্রামের ২৪২ জন পজিটিভ বলে জানানো হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৩২ জন ও গ্রামের ৪৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৪৫টি নমুনার মধ্যে শহরের ৭৪ ও গ্রামের ৭৬ টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩০৭ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১১৩ ও গ্রামের ২১ জন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৯৪ ও গ্রামের ২৯টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৬৪ ও গ্রামের ১৩টি, শেভরনে ১৪১ নমুনার মধ্যে শহরের ২১ ও গ্রামের ৪৭টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৬৩ নমুনায় গ্রামের ৩টিসহ ২৮টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ২৩টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ১২ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের ৩টির পজিটিভ এবং অবশিষ্টগুলোর নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ও এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবরেটরিতে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার- এন্টিজেন টেস্টে ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৩৪ দশমিক ৫৮, সিভাসু’তে ৪৩ দশমিক ৪৮, চমেকে ৪৩ দশমিক ৬৫, চবি’তে ৫৪ দশমিক ৬৬, ইম্পেরিয়ালে ৩৮ দশমিক ৮১, শেভরনে ৪৮ দশমিক ২২, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৪ দশমিক ৪৪, মেডিকেল সেন্টারে ৫২ দশমিক ২৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৫ শতাংশ।
এএইচ/