ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন: একান্নে একান্ন যুক্ত হোক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১২ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার

সজীব ওয়াজেদ জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন যার চোখে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের আগামীর প্রতিচ্ছবি, তরুণ প্রজন্মের আইকন। আজ তার জন্মদিন। বাংলাদেশের সমান বয়সী তিনি।

১৯৭১ সালের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়কে ধারণ করে যার নাম রাখা হয়েছিল ‘জয়’, সেই তিনি পঁচাত্তরের বাঙালি জাতির নির্মম ট্রাজেডির (জাতির পিতার সপরিবার হত্যা) পর মায়ের (জননেত্রী শেখ হাসিনা) সঙ্গে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখানে শৈশব-কৈশোরের পড়াশোনা শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করেন। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। 

আধুনিক বিশ্বের অবশ্যম্ভাবী জ্ঞানের শাখা কম্পিউটার বিজ্ঞান। তিনি এই বিষয়ে জ্ঞানার্জন করে নিজেকে যোগ্য করে তুলেছেন। পরে একটি দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং ভবিষৎ পরিকল্পনাও পরিচালনার জন্য যে জ্ঞান অত্যন্ত জরুরি, তিনি সে বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। এক কথায় একজন আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক হয়ে ওঠার জন্য যে জ্ঞান আবশ্যক, তিনি তা অর্জন করেছেন।

২০১০ সালে পিতার জন্মভূমি রংপুর থেকে তিনি আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনা বেতনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু উঠে এসেছিলেন জনতার ভিড় থেকে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এক নিপীড়িত, পরাজিত জাতিকে মুক্তির স্বাদ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মদিয়ে ছিলেন। সে সময়ের রাজনৈতিক বাস্তবতাই ছিল এমন। সাধারণ মানুষের একজন হয়েই তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক। আজ বঙ্গবন্ধুকণ্যার হাত ধরে দুর্বার গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। 

বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। যুগের চাহিদা, সময়ের বাস্তবতা, সজীব ওয়াজেদ জয় ভালো করেই জানেন। এ যুগে আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক হতে গেলে দরকার প্রখর প্রযুক্তি-জ্ঞান, সাথে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর চৌকস পর্যবেক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপযুক্ত উপায় উদ্ভাবন। সজীব ওয়াজেদ জয় সে লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করে চলেছেন। দেশের লাখ লাখ তরুণের প্রাণে স্বপ্ন বুনে দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশে প্রযুক্তি খাতে যে নীরব বিপ্লব ঘটেছে, সজীব ওয়াজেদ জয় তার নেপথ্য কারিগর। আমাদের আইসিটি সেক্টরে যে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে তার প্রমাণ করোনাকালে ঘরে
বসেই জীবনযাপনের সকল উপাদান সচল করে রেখেছি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অব্যাহত উন্নতির কল্যাণে।

এটাই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আর এই আইসিটির সক্ষমতার রূপকার স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়। বাংলাদেশের রাজনীতি তার জ্ঞান ও অবদান দ্বারা ঋদ্ধ হবে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতে তার অবদান অতুলনীয় হবে। তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাণ তার হাত ধরেই পূর্ণতা পাবে। বাংলাদেশের আগামীর রাষ্ট্রনায়কের একান্নতম জন্মদিনে আগামী বাংলাদেশের সুদিনের শুভেচ্ছা জানাই। তার পরবর্তী একান্ন বছর বাংলাদেশের সমৃদ্ধির একান্ন বছর হোক, এই প্রত্যাশা। 
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।