অংশীদারিত্ব ছাড়া টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যসমূহ অর্জন অসম্ভব
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার
ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস (আইডিয়া), এসডিজি-এর অ্যাকশন রিসার্চ সেন্টার এবং এসআইএমইসি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজী-এর যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি “স্থায়িত্বের জন্য অংশীদারিত্ব” শীর্ষক অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক স্কলার্স, ইউএন প্রতিনিধি, সরকারের সাবেক সচিব, জিও-এনজিও, একাডেমিয়া এবং গবেষকবৃন্দ এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং নিজেদের মতামত উপস্থাপন করেন। আলোচনায় জনগণের কল্যাণে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি), বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সমৃদ্ধি সাধনে অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন বক্তারা।
কার্টিন ইউনিভার্সিটি সাস্টেইনেবিলিটি পলিসি (সিইউএসপি) ইন্সটিটিউট-এর ডিরেক্টর আলোচনার মূল বক্তা প্রফেসর ডা. ডোরা ম্যারিনোভা বলেন, “বিশ্ব সম্পর্কে আরও ভালো দৃষ্টি তৈরি করার জন্য অংশীদারিত্ব আমাদের অনেকাংশে সহায়তা করে। আমরা এক যোগে কাজ করার মাধ্যমেই বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটাতে সফল হই। ভবিষ্যৎ বিশ্বের প্রতি একটি বিশেষ আগ্রহ এবং স্থায়ীত্বের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি আমাদের সকলকে একজোট করে। আমাদের কথার সাথে কাজের সামঞ্জস্য রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আসলে এমন এক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছি যারা এই পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আমরা আমাদের জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি, পুঁজি এবং আমাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সমন্বয়।"
স্পেশাল এনভয় অব ইউএন প্রেসিডেন্সি এবং কমিশনার, বায়োডাইভারসিটিস-এর গ্লোবাল কমিশন, প্রাক্তন মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) এবং মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনের এই যাত্রায় যেহেতু বাংলাদেশ তিনটি সেরা দেশের একটি, তাই এই দেশটিকে পেছনে ফেলে রাখা উচিত নয়। এমনকি সীমিত পুঁজি নিয়েই আমরা ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত লক্ষ্যনীয় উন্নতি করেছি। এক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ছিল রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি, যেটি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে প্রবলভাবে বিরাজমান। তিনি নিজে সরকারী ও বেসরকারী খাতের সহযোগিতার মাধ্যমে দ্রুত বিকাশের কার্যকরভাবে সমন্বয় সাধনের উদ্যোগ নিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে সারা বিশ্ব কোভিডসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ঠিক তেমনি, কোভিডের কারণে বিদ্যমান পুঁজিকে সচল রাখাও একটি চ্যালেঞ্জ। সমালোচনা থেকে সহনশীলতা, সহনশীলতা থেকে সমৃদ্ধি, এর ধারাবাহিকতাতেই আমাদের সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে এসডিজি'র লক্ষ্য অর্জনের দিকে।
ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস (আইডিইএ)-এর চেয়ারম্যান, প্রাক্তন সচিব এবং বিডা-র এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, “স্থায়িত্ব অর্জনের এবং রূপান্তরের জন্য প্রয়োজন কর্ম, নীতি এবং উদ্যোগের সমন্বয়। আর এমন রুপান্তর অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই মজবুত করা সম্ভব। টেকসই রূপান্তরের জন্য আমাদের একটি বিশাল এজেন্ডা রয়েছে যা বিশ্ব থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়তা করবে। আমার বিশ্বাস, বিশ্বজুড়ে এসডিজি-র জন্য কাজ করা দেশগুলিও বাংলাদেশের সাথে এমন অংশীদারিত্বের জন্য যোগাযোগ করবে।”
এসডিজি-র অ্যাকশন রিসার্চ সেন্টারের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, এসআইএমইসি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, প্রফেসর ড: আমজাদ হোসেন বলেন, “অংশীদারিত্ব ছাড়া টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যসমূহ অর্জন এবং এর সাথে জড়িত বিচিত্র ও নিবিড় সমস্যাসমূহ নিয়ন্ত্রণ এবং হ্রাস করা অসম্ভব। সেই সাথে অচিরে এসডিজি অর্জনের পরেও আমাদের এই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহের ফলাফলগুলি বজায় রাখা প্রয়োজন।”
এই ওয়েবিনার এর মডারেটর হিসেবে ছিলেন এসআইএমইসি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি-এর প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর এবং এসডিজি নিউজলেটার-এর প্রধান সম্পাদক ডা. রতন কুমার রায়। ওয়েবিনারের উপস্থাপনা শেষে প্রফেসর ডা. ডোরা ম্যারিনোভা এবং মো. আবুল কালাম আজাদ আলোচনায় উত্তরিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ইভেন্টটি এসআইএমইসি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি-এর প্রেসিডেন্ট এবং কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি, আইইউবিএটি-এর ডীন প্রফেসর ডা. মো: মনিরুল ইসলাম-এর ধন্যবাদ সূচক ভোটের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
কেআই//