ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১

রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ১৭ জনের মৃত্যু

রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ২৯ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন পজিটিভ শনাক্ত এবং উপসর্গ নিয়ে ১০ জন মারা যান। এছাড়া করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা গেছেন আরও দুজন। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণটার মধ্যে করোনা ইউনিটে এই ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর চারজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের তিনজন, পাবনার পাঁচজন, কুষ্টিয়ার দুজন ও বগুড়ার একজন। এদের মধ্যে নয়জন পুরুষ এবং আটজন নারী।

মৃতদের মধ্যে ছয়জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে দুজন এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে একজন।

এ নিয়ে চলতি মাসে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৪০ জনে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ১৭২ জন। আর শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৩১ জন। বাকি ৩৭ জন মারা যান করোনামুক্ত পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায়।

শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগি ভর্তি হয়েছে ৫২ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ২৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন, নাটোরের ১৫ জন, নওগাঁর চারজন, পাবনার পাঁচজন, কুষ্টিয়ার দুজন ও মেহেরপুরের একজন।

একই সময়ে সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩২ জন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছে ৪১৫ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১৯ জন।

করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগিদের মধ্যে ১৯২ জন করোনা পজিটিভ। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ১৭২ জন; যাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসাধীন ৫১ জন।

হাসপাতাল পরিচালক জানান, বুধবার দুটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৪২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২৪ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর আগের দিন মঙ্গলবার শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এছাড়াও গত সোমবার ছিল ২২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এএইচ/