বাংলাদেশি নারীকে ক্যাম্পে ধর্ষণ, বিএসএফ সদস্য গ্রেফতার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ৩১ জুলাই ২০২১ শনিবার
ভারত থেকে স্থলপথে দেশের ফেরার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) হেফাজতে থাকা এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এই অভিযোগে বিএসএফের এক এসআইকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওই কর্মকর্তার নাম রামেশ্বর কয়াল। তাকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় আদালত। ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হয়েছে।
জানা গেছে, ওই নারী বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। গত তিন বছর ধরে গুজরাটের একটি শাড়ির শোরুমে কাজ করছেন তিনি। বুধবার বৈধ পাসপোর্ট বা কোনও রকম কাগজপত্র ছাড়াই দালাল মারফত ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। এ জন্য দালালকে ৩০ হাজার রুপি দেন। কিন্তু ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার গৈহাটা এলাকার ঝাউডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ এর ১৫৮ ব্যাটালিয়ন সদস্যদের হাতে আটক হন তারা। এরপর রাতে ক্যাম্পে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
ওই নারীর অভিযোগ, 'আমি এবং আমার এক বান্ধবী ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ি। কিন্তু দালালকে ধরা যায়নি। এরপর ক্যাম্পে আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে রামেশ্বর নামে এক বিএসএফ কর্মকর্তা একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে।'
তিনি আরও বলেন, তাদের কোনও বৈধ পাসপোর্ট ছিল না। তাই চোরাই পথে তারা বাংলাদেশে ফিরছিলেন। তিনি ও তার বান্ধবী মিলে দালালকে ৩০ হাজার রুপি দেন। তার অভিযোগ, বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ তাদের বিএসএফ আটক করে এবং বারোটার সময় ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর সেখানেই ঘটে ধর্ষণের ঘটনা।
এদিকে, ওই নারী অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিএসএফ কর্মকর্তা গ্রেফতার করেছে স্থানীয় গাইঘাটা থানার পুলিশ। এরপর তাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের ও সেই সাথে ধৃত দুই মহিলাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই বিএসএফ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, 'আমি কোন অন্যায় কাজ করিনি। ওদেরকে কেবলমাত্র আটক করে নিয়ে এসেছি। ওই নারী অভিযোগ করতেই পারেন, কিন্তু আমি কিছু করিনি। তারা কেন অভিযোগ করেছে তা তারাই বলতে পারবেন।'
এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই নারীর বয়ান রেকর্ড ও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনগাঁ আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী।
কেআই//