বাগআঁচড়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫৫ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২১ শনিবার
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামের হাজী পাড়ায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। নিহত গৃহবধূর নাম লাবনী (২১)। শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে ঘটনার পর লাবনীর স্বামী ইমামুল ইসলামসহ বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, গত পাঁচ বছর আগে যশোরের মনিরামপুরের মশ্মিম নগর ইউনিয়নের চাকলা কাঁটালতলা গ্রামের সবুজ আলী গাজীর মেয়ে লাবনীর বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমামুল ইসলামের সাথে। তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। প্রথমে ভালো চললেও লাবনীর স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে প্রতি রাতে ইমামুল তার স্ত্রীকে মারধর করতো।
শুক্রবার রাতে মোবাইল ফোন দেখতে গিয়ে স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেম আলাপের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনতে পায় লাবনী। স্বামীর কাছে পরকীয়ার বিষয় জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী লাবনীকে মারধর শুরু করে ইমামুল। এসময় ইমামুলের বাবা শফিও তার সাথে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে লাবনী মারা যায়। পরে সেটি আত্মহত্যা বলে রটাতে লাবনীর মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বামী ও শ্বশুর। তারা এটা আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। পুলিশ আসার আগে ইমামুল ও তার পরিবারের সকলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
নিহত লাবনীর ভাই সোহেল জানান, যৌতুকের টাকার জন্য ইমামুল প্রায় আমার বোনকে মারধর করতো। আমরা অনেক বার বোনের সুখের জন্য তাকে টাকা দিয়েছি। পরকীয়াসহ বিভিন্ন ভাবে সে সেই টাকা খরচ করে ফেলতো। এর আগে কয়েকবার আমার বোনকে মারধোর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলো। সাতমাইল এলাকার স্থানীয় মোবারক সরদারের ছেলে এরশাদ আলী চৌধুরীর কথায় মিমাংসার মাধ্যমে আমার বোনকে আবার পাঠিয়ে ছিলাম শ্বশুর বাড়ীতে। শুক্রবার রাতে আমার বোন তার পরকীয়া ধরে ফেলায় পিটিয়ে মেরে ফেলেছে পাষান্ড ইমামুল। আমি আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বদরুল আলম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, লাশের গলায় দাগ রয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কেআই//