ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শোক দিবস উপলক্ষে একুশের রক্তদান কর্মসূচী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:২০ পিএম, ১ আগস্ট ২০২১ রবিবার | আপডেট: ০৪:৪৪ পিএম, ১ আগস্ট ২০২১ রবিবার

শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ স্মরণে রক্তদান কর্মসূচি পালন করেছে একুশে পরিবার। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুন।

‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে রক্তের অভাবে কোনো মানুষ মারা যেতে পারে না’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে একুশের পরিবারের সদস্যরা আজ ১ আগষ্ট সকাল ১০টা থেকে এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহযোগিতায় রক্ত দান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএসএমএমউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শারফুদ্দীন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবসৃষ্ট ‘ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনে’ ডিভিশনাল প্রধান অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, জি টিভির বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়া রেজা, ইটিভির পরিচালক রবিউল হাসান অভি, কে এম শহীদুল্লাহ ও একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীযুষ বন্দোপাধ্যায়।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ন বলেন, ‘সরকারী বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করলে রক্তের অভাবে মুমূর্ষ কোনো রোগীর মৃত্যু হবে না।’

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ উদ্যোগগুলো সারা বাংলাদেশেই নেওয়া উচিত। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ কখনও শোধ করা যাবে না, অন্তত মানবতার সেবায় আমাদের এধরণের কর্মসূচি বিশাল ভূমিকা রাখতে পারবে।’ 

এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, দেশে বছরে এখনো প্রায় ২ লাখ ব্যগ রক্তের ঘাটতি রয়েছে।

বিএসএমএমউ উপাচার্য বলেন, ‘সবাই যদি এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে রক্তের যে স্বল্পতা তা আর থাকবে না। রক্ত না পেয়ে দেশে যাদের মৃত্যু হয় তারা এই রক্ত নিয়ে জীবন ফিরে পাবেন। আর তারা জীবন পেলেই আমরা সফল হবো।’

বক্তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ কোন দিনই শোধ করা সম্ভব নয়। সব প্রতিষ্ঠান যদি এরকম আয়োজন করে তাহলে দেশে রক্তের ঘাটতি অনেকটাই মেটানো সম্ভব হবে।’

কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আয়োজনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীযুষ বন্দোপাধ্যায়।

পীযূষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘একুশে টেলিভিশনের পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা যে রক্তদান কর্মসূচি পালন করছি, সেই রক্তদান কর্মসূচি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।’

বিএসএমএমউ ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের হেড অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা প্রত্যেকে রক্তদান করি। এতে নিজের শরীরের কোন ক্ষতি নেই। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী তাদের বড় ধরনের কোন রোগ না থাকলে বছরে তিনবার রক্তদান করতে পারেন।’


 বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘যেকোন সুস্থ মানুষ প্রতি তিন মাস পর পর রক্ত দিতে পারে। রক্ত দিলে কোন ক্ষতিও নেই। রক্তের মাধ্যমে করোনা ছড়ায় না, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে রক্ত দিলে অনেক মানুষেরই জীবন বাঁচানো সম্ভব।

এসএ/