ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

পরোক্ষ ধূমপানে আথ্রাইটিসের ঝুঁকি

প্রকাশিত : ০১:৫২ পিএম, ২৫ জুন ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৯:১৯ পিএম, ২৬ জুন ২০১৭ সোমবার

শৈশবকালে পরোক্ষ ধূমপান এবং বড় হয়ে ধূমপায়ী হলে ‘রুমাটইড আথ্রাইটিস’ বা দীর্ঘস্থায়ী গেঁটেবাত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে ‘রুমাটইড আথ্রাইটিস’ একটি দীর্ঘমেয়াদি যন্ত্রনাদায়ক রোগ যা হাত-পায়ের জোড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়ের জোড়ে আক্রমণ করে। যেসব ধূমপায়ী শৈশবে পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শে এসেছেন অধূমপায়ীদের তুলনায় তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকির অনুপাত ১.৭৩।

গবেষণা দলের প্রধান , ‘ফ্রান্সের ইউনিভার্সিটি হসপিটালস অফ সাউথ প্যারিস’য়ের অধ্যাপক রাফায়েল সেরোর বলেন, “ছোটদের আশপাশে ধূপমান থেকে বিরত থাকার গুরুত্ব তুলে ধরাই আমাদের গবেষণার প্রধান কারণ। বিশেষ করে যাদের পরিবারে বাত রোগ আছে।”

‘অ্যানুয়াল ইউরোপিয়ান কংগ্রেস অফ রুমাটলজি(ইইউএলএআর) ২০১৭-তে গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয়।

পৃথক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘অ্যাঙ্কিলোজিং স্পন্ডালাইটস’ আরেক ধরনের বাত রোগে আক্রান্ত রোগীদের মেরুদণ্ডের গঠনগত জটিলতা বাড়ানোর পেছনেও ধূমপান দায়ী। মেরুদণ্ড এবং এর বড় জোড়গুলোকে আক্রমণ করে এই রোগ। যা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক, ক্রমবর্ধমাণ এবং বিকলাঙ্গ করতে সক্ষম।

গবেষকরা বলেন, “ধূপমানের কারণে হাড় বেড়ে যাওয়া শুরু করতে পারে।”

তুর্কির ‘ইজমির কাতিপ সেলেবি ইউনিভর্সিটি’র অধ্যাপক সেরভেত আকার বলেন, “‘অ্যাঙ্কিলোজিং স্পন্ডালাইটস’ রোগীদের ক্ষেত্রে ধূপমান শুধু রোগের সংবেদনশীলতা নয়, রোগের তীব্রতাকেও প্রভাবিত করে। শরীরে যাতে আরও বাজে প্রভাব না ফেলে সেজন্য ‘রুমাটলিজস্ট’দের উচিত হবে তাদের রোগীদের ধূপমান ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া।”সূত্র : ওয়েবএমডি