ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

হোয়াটসঅ্যাপে ওপার বাংলায় পদ্মার ইলিশ বিক্রি!

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ২ আগস্ট ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ২ আগস্ট ২০২১ সোমবার

২০১২ সাল থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ। তাই পদ্মার ইলিশ এখন ওপার বাংলায় ডুমুরের ফুল। তবে পাচারকারীদের সঙ্গে বিশেষভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে ইলিশ মিলছে। হাত বদলে সেই ইলিশের দাম দাঁড়াচ্ছে ১৮০০ থেকে ২৫০০ রুপিতে। এমনটাই দাবি ভারত সীমান্ত বাসিন্দাদের একাংশের।

তবে চোরাপথে আসা ইলিশ খোলাবাজারে বিক্রি করার ঝুঁকি নিতে চান না ব্যবসায়ীরা। ইলিশ গোপনে মজুত করে দালালরা। এরপর মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ইলিশের ছবি দেখিয়ে ওজন ও দাম মনোনিত হলে সেই ইলিশ হাতবদল হয়।

ভারতীয় পত্রপত্রিকার খবর, পেট্রাপোল সীমান্ত লাগোয়া তেরঘরিয়া, পীরোজপুর, গাইঘাটার সুটিয়া এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে পদ্মার ইলিশ ঢুকছে বনগাঁ বাজারে। সবটাই হয় গোপন পথে। কাকপক্ষীও টের পায়না।

মূলত বাংলাদেশ থেকে কাঁটাতারবিহীন এলাকা দিয়েই প্যাকেটভর্তি ইলিশ যায়। সেই ইলিশই মজুত করে দালালরা। এক দেড় কেজি ইলিশের দাম পড়ে ১৮০০ রুপি থেকে ২৫০০ রুপি। তবে পাচার রুখতে যথেষ্ট তৎপর সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

বনগাঁর এক পুলিশ কর্মকর্তা কথা, এসব মাছের গায়েতো লেখা থাকেনা পদ্মার ইলিশ বা কোন স্ট্যাম্প দেওয়াও থাকে না। একমাত্র খেয়ে দেখলেই বোঝা যায় কোনটা পদ্মার আর কোনটা দীঘার ইলিশ। তবে এটা ঠিক স্বাদে গন্ধে অপূর্ব বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ।

‘এই বর্ষা মৌসুমে পেট্রাপোল সীমান্তে কাঁটাতারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে এপার বাংলার পদ্মার ইলিশের গন্ধ ভেসে যায় ওপার বাংলায়। তাই বেশি দাম দিতে হলেও শুধু হোয়াটসঅ্যাপ কেন যে কোন অ্যাপের মাধ্যমে ভোজন রসিক বাঙালি পদ্মার ইলিশ কিনবে চড়া দামে’ এক গাল হেসে জানান পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়শনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী।

সীমান্তে বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী প্রদীপ দে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবছর হাড়িভাঙা আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। আমরা আশা রাখছি, এবার সাধারণ মানুষের জন্যও পদ্মার ইলিশ পাঠাবেন।

ভরতের বনগাঁ শহরের এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, কাস্টমারদের অনুরোধ আসে পদ্মার ইলিশের জন্য। তখনই দালালদের হোয়াটসঅ্যাপের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে ওপার বাংলার ইলিশের জন্য।

এএইচ/