1. প্রচ্ছদ
2. শিক্ষা

আজ থেকে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে অনলাইনে পরীক্ষা। বুধবার (৪ আগষ্ট) সকাল ১০টায় থেকে কয়েকটি বিভাগে একযোগে অনলাইন পরীক্ষা শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান।

উপাচার্য জানান, শিক্ষার্থীদের প্রতিটি মুহূর্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে আমি ক্যাম্পাসে এসেই শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে  অনলাইন পরীক্ষা গ্রহণের  উদ্যোগ গ্রহণ করি। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সেই উদ্যোগ পূর্ণতা পেলো। পাশাপাশি অল্প খরচে যাতে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ক্রয় করতে পারে সে লক্ষ্যে মোবাইল অপারেটরদের সাথে চুক্তি চলছে সেটিও প্রায় শেষের দিকে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য অকার্যকর ফি সমূহ মওকূফ করা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি অনলাইন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা শতভাগ উপস্থিত থেকে আমাদের উদ্যোগকে স্বার্থক করে তুলবে।' 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাইলাইজড ও আধুনিকায়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করি তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ এগিয়ে যাবে এবং খুব শীঘ্রই সেশনজটমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন সম্ভব হবে। 

অনলাইনে অনুষ্ঠিত কৃষি বিভাগের ১৬তম ব্যাচের একটি পরীক্ষায় পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত হয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের প্রফেসর এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার জানান, আমি মাননীয় উপাচার্য মহোদয়কে এমন সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানাই। স্বল্প সময়ে স্যারের সঠিক সিন্ধান্তের ফলে আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে পেরেছি। আজকে আমি অনলাইন পরীক্ষার একটি রুমে ছিলাম সেখানে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীই উপস্থিত ছিলেন। ২/১ ছাত্রের সামান্য নেটওয়ার্কিং সমস্যা ছাড়া আর তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। পরীক্ষা শুরুর পূর্বে আমাদের মধ্যে যে ভীতি কাজ করেছিল সেটি একেবারে নাই বললেই চলে। অত্যন্ত সুন্দর ও সফলভাবে আজকের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নেয়া ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, 'মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে বহুল প্রত্যাশিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছি। এমন উদ্যোগ নেয়ায় উপাচার্য মহোদয়সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি আমার বিভাগের সম্মানীত সকল শিক্ষকবৃন্দের প্রতিও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এমন দুর্যোগের সময় আন্তরিকতার সাথে পরীক্ষা নেয়ার জন্য।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণরোধে দিনাজপুর সদর উপজেলা লকডাউন ঘোষিত হবার পর গত ২১ জুন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিত হয়ে চলমান সকল পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর গত ৪ জুলাই এক আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের এক সপ্তাহের মাঝে অনলাইন পরীক্ষার খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করার তাগিদ দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার। এরপরেই ৭ জুলাই ডিনদের সমন্বয়ে গঠিত অনলাইন পরীক্ষা সংক্রান্ত উপ-কমিটি একটি খসড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জমা দেয়।

কেআই//