সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকার বুস্টার ডোজ স্থগিত চায় ডব্লিওএইচও
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ৫ আগস্ট ২০২১ বৃহস্পতিবার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) করোনা টিকার বুস্টার ডোজ অন্তত আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকার তীব্র অসমতা কমাতে ডব্লিওএইচও এ আহ্বান জানায়।
এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব সংস্থাটির প্রধান টেডরোস আধানম গেব্রিয়াসিস টিকা সরবরাহকারী দেশ ও কোম্পানীগুলোর প্রতি অবিলম্বে বুস্টার ডোজের উদ্যোগের পরিবর্তে দরিদ্র দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ স্থগিত রাখলে এই সময়ের মধ্যে প্রতিটি দেশের অন্তত ১০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
ইসরাইল ও জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিজেদের নাগরিকদের মধ্যে করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু টেডরোস সতর্ক করে বলেছেন, এতে গরিব দেশগুলো টিকাদানের বাইরে থেকে যাবে।
আধানম বলছেন, এখন টিকা সরবরাহের পরিস্থিতি বিপরীতমুখী হওয়া উচিত। টিকার বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে সরবরাহ করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘করোনার ডেলটা ধরই থেকে নিজ দেশের জনগণকে বাঁচাতে সব সরকারের উদ্বেগের বিষয়টি আমি বুঝি। কিন্তু আমরা ওই সব দেশকে মেনে নিতে পারি না যারা ইতিমধ্যে টিকার বৈশ্বিক সরবরাহের অধিকাংশই ব্যবহার করেছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, উন্নত দেশগুলোতে টিকাদানের হার অনেক বেশি হলেও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রতি ১০০ জনের মধ্যে মাত্র দেড়জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। টিকা সরবরাহে ঘাটতি থাকায় দেশগুলো টিকা দিতে পারছে না।
টিকাদানের ক্ষেত্রে ধনী ও গরিব দেশগুলোর মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ডব্লিওএইচও। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি আগামী মাসের মধ্যে প্রতিটি দেশের অন্তত ১০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু টিকাদানের বর্তমান যে অবস্থা তাতে ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
এ প্রেক্ষিতে সংস্থা প্রধান সকলের বিশেষ করে যেসব দেশ ও কোম্পানী টিকা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের সহযোগিতা চান।
তিনি বলেন, জি ২০ গ্রুপ টিকার বৃহৎ উৎপাদনকারী, ভোক্তা ও দাতা। তাই জি -২০ এর নেতৃত্বের ওপর কোভিড -১৯ এর গতিপ্রকৃতি নির্ভর করছে।
আধানম কোভ্যাক্সকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য টিকা উৎপাদনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দরিদ্র দেশগুলোকে টিকা সহায়তা দিতে এটি একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ।
এসএ/