টাইগারদের সিরিজ জয়কে এবার ‘চমক’ বলল ভারতীয় মিডিয়া
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ৭ আগস্ট ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১১:৪৩ এএম, ৭ আগস্ট ২০২১ শনিবার
আনন্দবাজার পত্রিকার সেই শিরোনাম
বহুলালোচিত অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে অনেকটা হেসেখেলেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচেও জিতেছে ১০ রানে, তবে এটা ছিল অনেকটা কষ্টের জয়। আর এই জয়ের ফলে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ইতোমধ্যেই ৩-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। যা মাইটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম কোনও সিরিজ জয়।
তবে টাইগারদের এই দাপুটে জয়কে আগের দিন ‘অঘটন’ হিসেবে তুলে ধরে ভারতীয় মিডিয়া। আর এবার সিরিজ জয়কে আখ্যা দিল ‘চমক’ হিসেবে।
গতকাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ দৈনিক ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ শিরোনাম করেছে- ‘বাংলাদেশের চমক, দুই ম্যাচ বাকি থাকতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ জয়’।
তারা লিখেছে, সিরিজের এখনও দুই ম্যাচ বাকি। তার আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে গেল বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচেই জিতে গেল তারা। শুক্রবার তৃতীয় একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ ১০ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছিল ২৩ রানে।
স্বপ্নের ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। উল্টো দিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিন যত এগিয়ে আসছে, তত চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার।
শুক্রবার বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান তোলে। জবাবে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১১৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মাহমুদুল্লাহ, নাসুম আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। মাহমুদুল্লাহ ৫২ রান করেন। তাঁর ৫৩ বলের ইনিংসে ৪টি চার রয়েছে। নাসুম ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর উইকেট না নিলেও ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দেন।
মাহমুদুল্লাহ টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। মাত্র তিন রানের মধ্যে মোহাম্মদ নাঈম (১) ও সৌম্য সরকার (২) ফিরে যান। দুটি উইকেট নেন জস হ্যাজলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।
এরপর ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সাকিবের (২৬) সঙ্গে মাহমুদুল্লাহ তৃতীয় উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন। সাকিবকে ফেরান জাম্পা। পরের উইকেটে আফিফ হোসাইনের সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক যোগ করেন ২৯ রান। সপ্তম উইকেটে তিনি এবং মেহেদি হাসান যোগ করেন আরও ৩০ রান।
বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ তিন বলে মাহমুদুল্লাহ, মুস্তাফিজুর (০) ও মেহেদিকে (৬) আউট করে হ্যাটট্রিক করেন নাথান এলিস। এই পেসারের এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচ ছিল।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের যা হাল, তাতে এলিসের এমন পারফরম্যান্সও কোনও কাজে লাগেনি। রান তুলতে হিমসিম খেয়ে যান অজি ব্যাটসম্যানরা। নাসুম ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। সাকিব ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ (৫১), বেন ম্যাকডারমট (৩৫) ছাড়া কেউ ভাল রান পাননি। এই সিরিজে বাংলদেশের বোলারদের বিরুদ্ধে রানই করতে পারছেন না অজি ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ১৩১ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া ১০৮ রানের বেশি করতে পারেনি। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১২১ রান তোলে।
মুস্তাফিজদের যেন কিছুতেই খেলতে পারছে না অজিরা। প্রথম দুই ম্যাচে ৩৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিলেও এদিন মুস্তাফিজ ছিলেন আরও ভয়ঙ্কর। যদিও উইকেট নিতে পারেননি এই বোলার, তবে চার ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৯টি। যাতে ১০ রানে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া, সঙ্গে সিরিজটাও খোয়ায়। আজ চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।
এনএস//