ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১

অলিম্পিকে টানা দ্বিতীয়বার স্বর্ণ জিতলো ব্রাজিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৬ এএম, ৮ আগস্ট ২০২১ রবিবার

টোকিও অলিম্পিক পুরুষ ফুটবলে স্পেনকে হারিয়ে স্বর্ণপদক অক্ষুন্ন রেখেছে ব্রাজিল। বিশ্বকাপের পাঁচ বারের শিরোপাজয়ী দলটির অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণ অধরা ছিল। কিন্তু ২০১৬ রিও আসরে নিজেদের মাটিতে নেইমারের নেতৃত্বে প্রথমবারের মত অলিম্পিক ফুটবলের স্বর্ণ জেতে সেলেসাওরা। পাঁচবছর পর তা ধরে রেখেছে তার উত্তরসূরীরা।

ইউরোপীয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে সমতা। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে একক প্রচেষ্টায় দুর্দান্ত গোল করেন ম্যালকম। ফলে টোকিও অলিম্পিকের স্বর্ণ জয় নিশ্চিত হয় লাতিন আমেরিকার ফুটবল পরাশক্তিদের। 

২০০২ সালে ইয়োকোহামার এ ভেন্যুতেই জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন রোনালদো-রোনালদিনহো-রিভালদোরা। একই ভেন্যুতে ১৯ বছর পর অলিম্পিক সোনা ধরে রাখল তারা। 

জাপানের ইয়োকোহামার নিশান স্টেডিয়ামে অলিম্পিক ফুটবলের ব্রাজিল-স্পেনের মধ্যকার ফাইনালের প্রধমার্ধে পেনাল্টি মিস, গোলের সহজ সুযোগ মিস কিংবা নিশ্চিত গোল থেকে বেঁচে যাওয়া সবই ছিল। ব্রাজিল পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেনি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দিলেন ম্যাথিয়াস চুনহা। ব্রাজিল অধিনায়ক দানি আলভেজের পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের মধ্যখান থেকেই ডান পায়ের দারুণ এক শটে স্পেনের জাল কাঁপিয়ে দেন চুনহা (১-০)।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ব্রাজিল। স্পেনের বক্সের মধ্যে ম্যাথিয়াস চুনহাকে ফাউল করেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোন। ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। স্পট কিক নিতে আসেন রিচার্লিসন। শট মারেন পোস্টের ওপর দিয়ে।

৩২ মিনেটে মার্কো আসেনসিওর গোলমুখে দারুণ একটি শট ফিরিয়ে গোল গোলরক্ষক সান্তোস। পাস দিয়েছিলেন চুচুরেলা। ২৫ মিনিটে রিচার্লিসন গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। গুইলার্মে আরেনার কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের একেবারে কাছ থেকে শট নেন, বল চলে যায় জালের বাইরে। ১৯ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিচ্ছিল প্রায় ব্রাজিল। কোনোমতে নিজেই সেই বল ঠেকিয়েছিলেন ডগলাস লুইজ।

দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে দুর্দান্ত এক গোলে স্পেনকে সমতায় ফেরান স্পেনের মাইকেল ওইয়ারজাবাল (১-১) এরপর একের পর এক আক্রমণ শানিয়েও গোল আদায় করতে পারেনি কেউ। যার ফলে খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে কোন পক্ষই গোল করতে পারেনি। খেলার ১০৮ মিনিটেই ম্যালকমের গোলে জয় নিশ্চিত হয় সেলেসাওদের। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বাঁ প্রান্তে পাস বাড়ান অ্যান্টোনি। স্পেনের ডিফেন্সিভ হাফে বল পেয়ে যান ম্যালকম। তিনি এককভাবে বল নিয়ে এগিয়ে যান এবং বাম প্রান্তের দুরূহ কোণ থেকে বাম পায়ের দুর্দান্ত এক শট নেন। স্পেনের গোলরক্ষকে ফাঁকি দিয়ে বল আশ্রয় নেয় স্পেনের জালে। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত এটিই হয়ে দাঁড়ায় খেলার ফলাফল। অলিম্পিক ফুটবলের স্বর্ণ ব্রাজিলের।

গত মঙ্গলবার সেমিফাইনালে স্বাগতিক জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে স্পেন। অপরদিকে টাইব্রেকারে মেক্সিকোকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ব্রাজিল।

এএইচ/