ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৯ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে ৫ শিক্ষার্থীকে প্রহার করায় মাদ্রাসা শিক্ষক আটক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:২১ পিএম, ৮ আগস্ট ২০২১ রবিবার

ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কে.এ খান হাফেজী মাদ্রাসার পাঁচ শিক্ষার্থীকে প্রহার করার অভিযোগে শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোঃ উল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ। 

শনিবার (৭ আগষ্ট) রাতে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া শিক্ষক মোঃ উল্লাহর বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাদ্রাসা চালু রাখার অভিযোগে রয়েছে। 

অভিযোগে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট দুপুর ৩টার দিকে শিশু-কিশোর বয়সী শিক্ষার্থীরা দুষ্টুমি করছিলো। ওই সময়ে ঘুমিয়ে থাকা শিক্ষক মোঃ উল্লাহর ঘুম ভেঙে যায়। এতে তিনি রাগ করে কক্ষের দরজা আটকে ৫ শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পেটায়।

মাগরিবের নামাজের সময় নলছিটি উপজেলার বারৈকরন গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রহিমের পুত্র মোঃ সিয়াম (৯) পেছন থেকে পালিয়ে পোনাবালিয়া বাজারে আসে। এসময় উপস্থিত কতিপয় এলাকাবাসী বিষয়টি জেনে ক্ষিপ্ত হয়। এ অবস্থায় শিক্ষক হাফেজ মোঃ উল্লাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোঃ মোরশেদ খানকে ঘটনাটি জানিয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ি চলে যেতে বলে।

অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়লে পোনাবালিয়া বাজারে উপস্থিত লোকজন হাফেজ মোঃ উল্লাহকে আটকে রাখে এবং পোনাবালিয়া গ্রামের শামীম খলিফার ছেলে আমিনুল ইসলাম (১০), বাড়ইকরন গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ সিয়াম (৯), পোনাবালিয়া গ্রামের সুমন হোসেনের ছেলে মো. আমিনুল (৯) ও একই গ্রামের মো. ইয়াছিন (১৪)কে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে সকল শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গেলেও সিয়ামকে তার অভিভাবকরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। খবর পেয়ে রাতেই ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ হাফেজ মোঃ উল্লাহকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 
   
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খলিলুর রহমান বলেন, শিশু শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এক শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এই অভিযোগে শিক্ষক হাফেজ মোঃ উল্লাহকে আটক করা হয়েছে।

এএইচ/