ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

চীনের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকল্প নির্মাণে জোর দিচ্ছে মিয়ানমার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ৮ আগস্ট ২০২১ রবিবার

মিয়ানমারের কিউকফিউ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল (কেপিএসইজেড) এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের জন্য আইনি পরিষেবা প্রদানে দরপত্র আহ্বান করেছে দেশটির সামরিক শাসক। এ দুটি প্রকল্পই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) গুরুত্বপূর্ণ একটি কৌশলগত অংশ।  

বিআরআই প্রকল্পের আওতায় নিজেদের উচ্চাভিলাষী অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে চীনের চাপের মুখে জান্তা সরকার এ দরপত্র আহ্বান করলো। কিন্তু মিয়ানমার এখন সামরিক অভ্যুত্থানের সূত্র ধরে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং কোভিড-১৯ মহামারীর ভয়াবহ তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাত সামলে উঠতে সংগ্রাম করছে। এরওপর চীনের চাপ তাদেরকে আরো কোনঠাসা করেছে। 

জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, আইনি সেবা প্রদানে আগ্রহী স্থানীয় ও বিদেশি উভয় আইনি প্রতিষ্ঠানই আগামি ১০ আগস্ট পর্যন্ত কেপিএসইজেডের ম্যানেজমেন্ট কমিটির কাছে নিজেদের ইচ্ছার কথা জানাতে পারবেন। 

গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর সামরিক সরকারের নিজেদের ঘোষিত দ্য স্টেট অ্যাডমিনেস্ট্রেশন কাউন্সিল (এসএসি) তাদের দেশে চীনের অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর কাজ এগিয়ে নেয়ার নানা রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত মে মাসে কেপিএসইজেডের ম্যানেজমেন্ট কমিটি পুনর্গঠন করে। 

বিআরআই প্রকল্পের মধ্যে কেপিএসইজেড এবং গভীর সমুদ্রবন্দরকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। কারণ এ দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে তারা ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারবে। শুধু তাই নয় এর ফলে সিঙ্গাপুরের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ মালাক্কা প্রণালী বাইপাস করে ব্যবসার সুযোগ পাবে। সূত্র: ইরাবতী ডটকম

এসি