তারকাদের ছাড়াই কেন বাংলাদেশে আসছে নিউজিল্যান্ড!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৩ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৪১ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২১ মঙ্গলবার
নিউজিল্যান্ড দল
সদ্যই শেষ হয়েছে বহুলালোচিত অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি শেষ করে সোমবার রাতেই দেশে ফিরে গেছে অস্ট্রেলিয়া। কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার ছাড়াই বাংলাদেশ সফর শেষ করে গেছে দলটি। ফলাফলও পেয়েছে হাতেনাতেই। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে ম্যাথিউ ওয়েডের দল।
এবার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসছে নিউজিল্যান্ড দল। তারাও হেঁটেছে প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ার পথেই। কিউইরা তাদের তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই বাংলাদেশ সফরে আসছে বলেই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) বিশ্বকাপ এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরের জন্য দুটি ভিন্ন দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে যার প্রথমটিতে থাকছেন নিউজিল্যান্ডের সব তারকা ক্রিকেটাররা, আর টম ল্যাথামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফরের দলে নেই কোনও কিউই তারকা।
এদিকে, অজিদের মতো কিউইদের বিপক্ষে সব ম্যাচই হবে মিরপুরের শেরে বাংলায়। তবে হোম অব ক্রিকেটের উইকেট যে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে কতটা ভূমিকা রাখবে, সেই প্রশ্ন থাকছেই।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে মিরপুরের নিচু ও মন্থর উইকেট ও অজিদের ভরাডুবি দেখেই নিউজিল্যান্ডের এই দল ঘোষণা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও আসছে! নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) অবশ্য বলছে ভিন্ন কথা।
বাংলাদেশ সফর দিয়ে শুরু হয়ে ভারত সফর দিয়ে শেষ হবে নিউজিল্যান্ডের চার মাসের দীর্ঘ সফর। জৈব সুরক্ষাবলয়ে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে খেলোয়াড়দের ওপর থেকে চাপ কমাতে এ রকম অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই জানিয়েছে এনজেডসি।
বাংলাদেশের কাছে সিরিজটা ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। দলের নিয়মিত কয়েকজন খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতে অস্ট্রেলিয়ার এই হার খুব একটা চিন্তায় ফেলতে পারেনি কিউইদের। কেন উইলিয়ামসন-বোল্ট-সাউদিদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রেখে বাংলাদেশ সফরের দল ঘোষণা যেন সেটাই প্রমাণ করে। অবশ্য শুধু অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হার কেন, বাংলাদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের অতীত ইতিহাসও যে সুখকর নয়। হোয়াইটওয়াশও হয়েছে কয়েকবার।
তবে এবার শুধু বাংলাদেশ সফর নয়, ১৮ বছর পর পাকিস্তান সফরেও উইলিয়ামসন-বোল্টদের ছাড়াই খেলবে নিউজিল্যান্ড। এ দুই সফরের দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যও দল ঘোষণা করেছে এনজেডসি। বিশ্বকাপ দলের কোনো খেলোয়াড়ই নেই এ দুই সফরে। টানা সিরিজে খেলোয়াড়-স্টাফদের চাপ কমাতে দুটি ভিন্ন দলই ঘোষণা করেছে তারা।
এদিকে, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকেই আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে স্থগিত আইপিএলের বাকি অংশ। তারপর সেখানেই হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টকে মাথায় নিয়েই আইপিএলের বাকি অংশে বিশ্বকাপ দলে থাকা খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ করে দিয়েছে এনজেডসি।
বলা যায়, এই মহামারী করোনার মধ্যে বেশ সুদূর প্রসারী কর্মচিন্তাই হাতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। অর্থাৎ বাংলাদেশে এসে অস্ট্রেলিয়ার মতো হেরে গেলেও তাতে কিছু যায় আসবে না- তাদের ভাবটা যেন এমনই। যদিও এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের এক নম্বর দল নিউজিল্যান্ডই।
এনএস//