ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাজনা আমদানি শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩১ এএম, ১২ আগস্ট ২০২১ বৃহস্পতিবার

দেশের বাজারে ভালো চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় ৬ মাস পর আবারো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাজনা আমদানি শুরু হয়েছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বন্দর দিয়ে সাজনা আমদানি হয়েছিল। আমদানিকৃত এসব সাজনা ১শ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে রাজধানী ঢাকার বাজারে বিক্রি হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে একটি মিনি পিকআপের মাধ্যমে ২ হাজার ৬৫০ কেজি সাজনা (ড্রাম স্টিক) আমদানি করা হয়। মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ নামের হিলির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই সাজনা আমদানি করেন যা ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের জগৎ বাবু নামের রফতানিকারক বাংলাদেশে রফতানি করেন।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজের কার্যসম্পাদনকারী সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট অনিক সরকার বলেন, দেশের বাজারে এখনো দেশীয় সাজনা উঠতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। যার কারণে রাজধানী ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বাজারে ওষধিগুণ সম্পন্ন অসময়ের সাজনার বেশ চাহিদা যেমন রয়েছে ও তেমনি ভালো দাম রয়েছে। এছাড়া ভারতীয় সাজনা আকারে বেশ মোটা ও স্বাদ ভালো হওয়ায় এর চাহিদা আরই বেশি রয়েছে। দেশের বাজারে সাজনার সেই বাড়তি চাহিদা ও ভালো দাম পাওয়া মাথায় রেখে ভারত থেকে বারো মাসি সাজনা আমদানি করেন আমার আমদানিকারক মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ। ভারতের উত্তর প্রদেশের গুজরাট অঞ্চল থেকে গতকাল এবারের মৌসুমে প্রথম বারের মতো ২ হাজার ৬৫০ কেজি সাজনা আমদানি করা হয়েছে। প্রতিটন সাজনা ২০৫ মার্কিন ডলার মুল্যে আমদানি করা হয়েছে, আর শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে ৫'শ মার্কিন ডলার মূল্য। যাতে করে কেজি প্রতি প্রায় ২৬ টাকার মতো শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। আমদানিকৃত সাজনাগুলোর বিপরীতে আমাদের শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে ৬৮ হাজার টাকা। আজ বন্দর দিয়ে কোন সাজনা আমদানি হয়নি জানিয়ে দেশিয় সাজনা না ওঠা পর্যন্ত এখন থেকে বন্দর দিয়ে নিয়মিত সাজনা আমদানি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ৬ মাসের মতো সময় বন্ধ থাকার পর আবারও গতকাল হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে সাজনা আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল ১টি মিনি পিকআপের মাধ্যমে ২ হাজার ৬৫০ কেজি সাজনা আমদানি হয়েছে। সাজনা যেহেতু কাচামাল তাই কাস্টমসের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অতি দ্রুত দেশের বাজার ধরতে বন্দরের সকল কার্যক্রম শেষ করে সংশ্লিষ্ট সিআ্যন্ডএফ এজেন্টকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধারা আমাদের অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের সাথে নতুন করে সাজনা আমদানি শুরু হওয়ায় সরকারের রাজস্ব আহরন যেমন বেড়েছে তেমনি বন্দরের আয় বেড়েছে।
কেআই//