ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

ব্র্যাকের কৌশলগত অংশীদারিত্বে যোগ দিল কানাডা

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৫:০১ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২১ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী, বিশেষত প্রত্যন্ত এলাকাবাসীর সেবা বাড়াতে আজ কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী কারিনা গোলড আগামী পাঁচ বছরে ৪ কোটি ৫০ লাখ কানাডীয় ডলার প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষত নারী এবং কন্যা শিশুদের সহায়তায় কানাডা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই অংশীদারিত্ব কানাডা সরকারের নারীবাদী আন্তর্জাতিক সহায়তা নীতি এবং ব্র্যাকের নারীকেন্দ্রিক উন্নয়ন পদ্ধতির ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে, যা নারী ও কিশোরীদের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেয়। এই অনুদানের মাধ্যমে কানাডা একটি দীর্ঘমেয়াদী ত্রিপক্ষীয় অংশীদারত্বে ব্র্যাক এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে যোগ দিল। 

স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (এসপিএ)-তে কানাডার অনুদানের মাধ্যমে, ব্র্যাক তার বহুমুখী সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, আইনি পরিষেবা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং জীবিকা পরিষেবাকে দুর্গম অঞ্চলে সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী ও কন্যা শিশুদের মাঝে বিস্তৃত করতে সক্ষম হবে। এই সহায়তা মানবাধিকার, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার, পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টি, নারী ও শিশুদের প্রতি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার অবসানে ব্র্যাকের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে। এই সহায়তার একটি নির্দিষ্ট অংশ থাকছে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং কোভিড -১৯ প্রতিরোধ কার্যক্রমের জন্য।

কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী কারিনা গোলড তার ভার্চুয়াল বাংলাদেশ সফরের সময় এই ঘোষণা দেন। আজ তিনি ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচী দেখতে ঢাকার ভাষানটেক বস্তিতে একটি ভার্চুয়াল ভিজিটে অংশ নেন। এই প্রকল্পটিতেও এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে নিয়মিত সহায়তা প্রদান করা হবে। তিনি দক্ষতা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থী, শীঘ্রই মা হতে যাচ্ছেন এমন নারীদের সহায়তা দেওয়া স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং ব্র্যাকের নেতৃত্বাধীন কোভিড -১৯ প্রতিরোধ কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ। তাঁরা দুজনই করোনাকালে সেবা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মুখসারীর সাহসী কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে উৎসাহিত করেন।

কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী কারিনা গোলড বলেন, “করোনাভাইরাসের ফলে বিশ্বে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর উপর যে অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব পড়েছে, সে বিষয়ে আমাদের স্থানীয় এবং অভিজ্ঞ অংশীদাররা সম্পূর্ণভাবে অবগত। দুর্গম অঞ্চলের জনগোষ্ঠী, বিশেষত প্রান্তিক নারী এবং কন্যা শিশুদের সহায়তায়  আমাদেরকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের মহামারির প্রভাব মোকাবেলায় এবং যত দ্রুত সম্ভব সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং পুনরুদ্ধারে কানাডা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, “আমাদের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডাকে আনন্দচিত্তে স্বাগত জানাচ্ছি। কোভিড-১৯ মহামারি যখন বাংলাদেশে আরও অসমতা বাড়িয়েছে-এমনই সংকটকালে এই জরুরী অংশীদারত্ব শুরু হলো। এই মহামারি মোকাবেলা এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা ও সম্পদের প্রয়োজন। তাদের অংশীদারত্ব আমাদের প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে এবং মহামারি মোকাবেলা  প্রক্রিয়ায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে।“

আরকে//