ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

ক্যানবেরায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৩ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২১ রবিবার

ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ক্যানবেরায় ঘোষিত লকডাউনের প্রেক্ষিতে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্মরণসভাটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। আজ রোববার হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে হাইকমিশনারসহ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।

আলোচকগণ জাতির পিতার বলিষ্ট নেতৃত্ব ও অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বৈষম্যহীন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। জাতির পিতার দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি আজ স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

বক্তারা বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আলোচকরা।

আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের প্রতি শোকাহত চিত্তে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ধারণ করার বাইরে এ জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়ে বঙ্গবন্ধু অনন্য নেতা হিসেবে অর্বিভূত হন। আর তাই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।

বঙ্গবন্ধু এ জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে কিছু আর্দশগত দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, যার ভিত্তিতে একটি প্রগতিশীল সমাজ গঠন ও সক্ষম রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ সমাজ এবং জাতীয় পর্যায়ে যথার্থভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ লক্ষ্যে হাইকমিশনার সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অঙ্গিকারাবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। 

এএইচ/